এবিএনএ : সংসার হলো বিশ্বাস এবং পারস্পারিক বোঝাপড়ার একটা জায়গা। এখানে পরস্পরের প্রতি সৎ থাকাটা অনেক বেশি জরুরি। তারপরও কোনো কোনো সময় আমাদের মিথ্যা বলতেই হয়। মিথ্যা বলার অভ্যাস ভালো নয়। তবে কিছু মিথ্যা আছে যেগুলো বলায় দোষের কিছু নেই। বরং এর কারণে সম্পর্ক আরও মধুর হয়। ধরুন, সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য সঙ্গী যত্ন করে আপনার জন্য কিছু তৈরি করলেন। খাবারটা তেমন ভালো না হলেও আপনি তার প্রশংসা এবং তাকে আরও বেশি উৎসাহিত করলেন। এতে কিন্তু কোন ক্ষতি হবে না, বরং আপনার সঙ্গীর মুখে হাসি ফুটে উঠবে। যদিও সততাই সর্বোত্তম পন্থা, তারপরও কিছু কিছু ক্ষেত্রে সঙ্গীকে মিথ্যা বলা যেতেই পারে। এবার ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ অবলম্বনে জেনে নিন কোন মিথ্যাগুলো সঙ্গীকে বলতে দোষের কিছু নেই-
সবসময় তোমার কথা চিন্তা করি
সব কাজ ফেলে দিনের প্রতিটি সময় সঙ্গীকে নিয়ে ভাবা সত্যিই অসম্ভব। তারপরও আমরা বলি, আমি সবসময় তোমাকে নিয়ে ভাবি। আপনার সঙ্গীও এটাকেই ঠিক বলে ধরে নেয় এবং ভালো অনুভব করে। তাই এ মিথ্যায় কোনো ক্ষতি নেই। কারণ আপনার উদ্দেশ্য সৎ এবং আপনি তাকে ভালোবাসেন বলেই একথা বলেছেন।
তুমি অনেক মজার মানুষ
রসবোধ তো দূরে থাক, সঙ্গী হয়তো আপনার সঙ্গে তেমন কথা বলারই সময় পাননা। তারপরও তাকে বলুন, ‘তুমি অনেক মজার মানুষ’। তার প্রতি আপনার এ মন্তব্য কিন্তু সম্পর্কে ভাঙন বাড়াবে না, বরং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা আরও বাড়িয়ে তুলবে।
তোমার বন্ধুদের ভালোবাসি
অন্য মানুষের সম্পর্কে সঙ্গীর সঙ্গে আপনার ধারণা নাও মিলতে পারে। এক্ষেত্রে অন্যের কথা দুজনের মধ্যে শেয়ার না করাই ভালো। আপনাদের দুজনেরই অনেক ভালো বন্ধু থাকতে পারে। তার মানে এই নয় যে, দুজনের সব বন্ধুদের আপনারা পছন্দ করবেন। যাহোক, আপনারা কেউ যাতে কষ্ট না পান এজন্য বন্ধুদের কথা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নতুবা মন না চাইলেও মুখে বলুন, তোমার বন্ধুদের ভালোবাসি।
তুমি সুদর্শন
সঙ্গী নতুন কোন শার্ট কিংবা কোন জ্যাকেট পরে আপনাকে জিজ্ঞাসা করতেই পারে, তাকে দেখতে কেমন লাগছে? অনেকেই তৎক্ষণাৎ উত্তর দেন, তোমাকে অনেক সুদর্শন লাগছে। এ রকম পরিস্থিতি কম-বেশি সব সম্পর্কেই আসে। খুব বেশি সুন্দর না লাগলেও কিন্তু এই মিথ্যা বলায় দোষের কিছু নেই। তা না হলে সঙ্গীর মেজাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তোমার রান্না ভালো
সঙ্গী আপনার জন্য অনেক কষ্ট করে রান্না করে। তারা চায়, আপনি রান্না খেয়ে ভালো কোন মন্তব্য করেন। খাবারটা তত ভালো হয়নি তারপরও তার রান্নার প্রশংসা আপনি করতেই পারে। এতে সঙ্গী ভবিষ্যতে আরও ভালো রান্নার চেষ্টা করবে।
আমি তোমাকে কখনই মিথ্যা বলি না
সঙ্গীকে বলুন, আপনি অন্ধের মতো তাকে বিশ্বাস করেন। আপনি কোন কিছুই তার লুকান না। এতে সঙ্গী অনেক খুশি হবে। কিন্তু আসলে পৃথিবীতে এমন কোন লোক পাওয়া যাবে না, যে কোন কিছুই লুকায় না।
তোমার মা-বাবা তো আমারই
যদিও আপনি সঙ্গীর মা-বাবাকে পছন্দ করেন না, তারপরও তাকে খুশি করার জন্য মিথ্যাটা বলতেই পারেন। তা না হলে সঙ্গী আঘাত পেয়ে আপনার সঙ্গে বিরুপ আচরণ করতে পারে। এতে সম্পর্কে ভাঙনও ধরতে পারে। তাই সংসারে সুখী হতে চাইলে ছোট্ট এই মিথ্যাগুলো বলতেই পারেন।