এবিএনএ : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, দেশের সাধারণ জনগণের স্বার্থে আমরা জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করব। আশা করছি এ সপ্তাহের মধ্যে সবধরণের জ্বালানি তেলের দাম কমানো সম্ভব হবে।
শনিবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য দেন।
তিনি বলেন, মুদ্রা বিনিময় হার কাঙ্খিত পর্যায়ে রাখা হবে। দেশে এখন রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মুল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এটা যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যেতে পারে সেদিকেও নজর রাখা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। প্রতি অর্থবছরই বাজেটের আকার বাড়ছে। আগামী ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা হতে পারে। তবে বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ বাজেট ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
আগামী বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের শুল্ক আদায়ের হার অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এটাকে বাড়াতে হবে। শুল্ককর পরিশোধে যাতে সাধারণ মানুষ উৎসাহী হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে জ্বালানি খাতে ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধে সবচেয়ে বেশি অনীহা দেখা যায়। আগামী অর্থবছরে এ প্রবণতা দূর করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভ্যাট-ট্যাক্স সময়মত পরিশোধ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ৫৫ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে জ্বালানি তেল পাওয়া যায় । কিন্তু বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী টাকায় জ্বালানি তেলের মূল্য ২৭ টাকা থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন অজুহাতে সরকার জ্বালানি তেলের দাম এত দিন কমায়নি।