এবিএনএ : হাওরাঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতায় দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দুর্গত এলাকাগুলোতে এক কোটিরও বেশি মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। অথচ সরকার কেবল ৩ লাখ ত্৩০ হাজার লোকের তালিকা করেছে। সেখানেও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা সুবিধা পাচ্ছে না। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা তৈরির দায়িত্ব আওয়ামী লীগ নেতাদেরকে দেওয়ায় প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি। হাওরাঞ্চলের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পাহাড়ি পানির ঢলে ভয়াবহ বিপর্যস্ত হাওর এলাকার মানুষ এখন বিপন্ন অসহায় অবস্থার মধ্যে ক্ষুধার্ত দিনযাপন করছে। সহায়-সম্বল হারিয়ে প্রায় নিঃস্ব হতে বসেছে সাড়ে আট লাখের অধিক পরিবার, অথচ ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে মাত্র তিন লাখ ৩০ হাজার পরিবারকে সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে- হাওর অঞ্চলের প্রায় কোটির কাছাকাছি মানুষ খাদ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে আর পঞ্চাশ লাখ মানুষ ভয়াবহ খাদ্য সংকটের মুখে পড়েছে। অথচ দুর্গত এলাকাগুলোতে কোনো সরকারি ত্রাণ নেই। উপদ্রুত হাওর এলাকাবাসীদের সাহায্য-সহায়তা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের মুখেই শুধু বড় বড় কথার ফুলঝুরি। কিন্তু শাসকগোষ্ঠী হাওর এলাকার জীবন-জীবিকায় গভীর সংকটে নিপতিত মানুষের অসহায়ত্ব নিয়ে তামাশাই করে যাচ্ছে, কিন্তু কার্যকর কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছে না।
রিজভী বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন বিএনপি দুর্গত এলাকায় ফটোসেশন করতে গেছে। আসলে তার বক্তব্যটি সম্পূর্ণভাবে সত্যের অপলাপ। হাওরের প্রথম আঘাতের সময় আমাদের দলের মহাসচিব ওই এলাকায় গিয়ে সেখানে ত্রাণকাজে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, জনগণের আহার, ক্ষুধা ও অসহায়ত্ব নিয়ে মশকরা করবেন না। দেশের সকল রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন এনজিও, নাগরিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর ত্রাণ তৎপরতায় বাধার সৃষ্টি করবেন না।
Share this content: