জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সিটিং সার্ভিস বন্ধ ‌’সড়কে শৃঙ্খলা না আসা পর্যন্ত অভিযান চলবে’

এবিএনএ : রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে আজ রোববার সকাল থেকেই অভিযান চলছে। সড়কে শৃঙ্খলা না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে তেজগাঁও সাত রাস্তার মোড়ে অভিযানে এসে এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিটিং সার্ভিস বন্ধে রাজধানীতে বিআরটিএ’র অভিযান শুরু হয়েছে। পরিবহনখাতে শৃঙ্খলা না ফেরা পর্যন্ত বিআরটিএ’ র এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জানা গেছে, সিটিং সার্ভিস বন্ধে রোববার সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে বিআরটিএ’র পাঁচটি ভিজিলেন্স টিম। পরিবহন মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে গঠিত এ টিম সপ্তাহে তিনদিন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ অভিযান চালাবে। প্রতিদিন সকাল ১১টায় আসাদগেট থেকে এই অভিযান শুরু হবে।

বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান জানান, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের কোনো অনুমোদন নেই। অননুমোদিত যানবাহনের বিরুদ্ধে তারা অভিযান শুরু করছেন। তিনি বলেন, শুধু সিটিং সার্ভিস বন্ধ নয়, যাত্রী হয়রানি রোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রোববার রাজধানীর পাঁচটি স্থানে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, রাজধানীর আসাদগেট, বিমানবন্দর বাসস্ট্যান্ডে সড়কের পশ্চিম পাশে, রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সামনে, আগারগাঁওয়ে (আইডিবি ভবন), যাত্রাবাড়ী চাইপাই রেস্টুরেন্টের সামনে বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। সপ্তাহে তিনদিন এই অভিযান চলবে।

এর আগে গতকাল শনিবার সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ জানিয়েছিলেন, ঢাকায় সিটিং সার্ভিস বন্ধে অভিযান কাল থেকে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় বাস চলা শুরু করবে। তিনি বলেন, মনিটরিংয়ে থাকবে পরিবহন মালিক সংগঠনের ভিজিলেন্স টিম। ঢাকায় ৫টি পয়েন্টে সড়কে মনিটরিং করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, পহেলা বৈশাখ থাকায় জনগণের কথা চিন্তা করে আগামীকাল রোববার থেকে সিটিং সার্ভিস বন্ধ কার্যকর করা হচ্ছে। সিটিংয়ের পরিবর্তে লোকাল সার্ভিসের ভাড়া বিআরটিএ চার্ট করা তালিকায় চলবে।

গত ৪ এপ্রিল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ সার্ভিস বন্ধ ঘোষণা করেন ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতি। বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করে ভাড়া আদায়ের কথা বলা হয় গণপরিবহনগুলোকে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button