এবিএনএ : বাংলার দোল উৎসবের দোলায় দুলেছে হাজার হাজার মাইল দূরের আটলান্টিক মহাসাগরের পাড়ের আটলান্টিক সিটির প্রবাসীরাও।
সনাতন ধর্মমতে, তৎসম শব্দ ‘হোরি’র অপভ্রংশ হোলি। সেখান থেকে হোলক, হোলিকা, যার অর্থ ডাইনি। স্কন্দপুরাণের ফাল্গুন মাহাত্ম্য অংশের হোলিকা বধ কাহিনি থেকেই এ উৎসবের উৎপত্তি বলে পণ্ডিতদের ভাষ্য। কথিত আছে, ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথির এ দিনে বৃন্দাবনের নন্দকাননে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে তার সখী রাধা ও তেত্রিশ হাজার গোপীর সঙ্গে রং ছোড়াছুড়ির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। এরপর কৃষ্ণভক্তরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। এ আবির খেলার স্মরণে হিন্দু সম্প্রদায় এই হোলি উৎসব উদ্যাপন করে থাকে। সংস্কৃতিসেবী বিপ্লব তালুকদার দোল উৎসব সম্পর্কে বলেন, এই উৎসব অশুভকে ধ্বংস করে নতুনকে স্বাগত জানাবে। হোলি বা দোল যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এই উৎসব সারা দেশে ‘ধর্মের গণ্ডি পেরিয়ে সর্বজনীন রূপ’ নিয়েছে, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি হাজির করছে।
রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী তৃষা তালুকদার বলেন, ‘দোল উৎসবে পরিবারের সবার মঙ্গল কামনা করেছি। পৃথিবীর সকল মানুষ মিলেই তো একটি বড় পরিবার। সেই পরিবারটিকে যেন ঈশ্বর সব বিপদ-আপদ থেকে ত্রাণ করেন, সেই প্রার্থনা করেছি।’