
এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে কারিগরি ত্রুটি কোনো ধরনের নাশকতার চেষ্টা ছিল কি না, তা এখনও নিশ্চিত হয়নি বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, এই ত্রুটি মনুষ্যসৃষ্ট ছিল- এটা অন্য দুটি তদন্তের মতো বিমান মন্ত্রণালয়ের তদন্তেও প্রমাণ হয়েছে। এখন সংশ্লিষ্টদেরকে আইনের আওতায় এনে জানার চেষ্টা হবে এটা নাশকতা কি না। বিমান মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এই সুপারিশ এসেছে।
গত ২৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে হাঙ্গেরির পথে বহনকারী বিমান জরুরি অবতরণে বাধ্য হয় তৃর্কমেনিস্তানে। পরে চার ঘণ্টা ত্রুটি সারিয়ে বিমানটি আবার যাত্রা শুরু করে। এই ঘটনায় মোট তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়। একটি কমিটি গঠন করে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, একটি তদন্ত কমিটি বাংলাদেশ বিমান এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিমান মন্তণালয়।
এই ঘটনার তিন দিন পর অন্য একটি বিমানে করে হাঙ্গেরি থেকে ঢাকায় ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশে ফেরার পরপর দলের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করে এটি নাশকতা কি না যা যাচাইয়ের দাবি জানান।
৩ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে তার কাছে। এতে অন্য কিছু নেই।
অবশ্য ৮ ডিসেম্বর সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিমানের ত্রুটিকে যান্ত্রিক গোলযোগ মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তদন্ত প্রতিবেদন দেখে তার মনে হয়েছে এটি মনুষ্যসৃষ্ট হত্যা চেষ্টা ছিল।
বিমান মন্ত্রণালয়ের তদন্ত
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমানের তদন্ত কমিটি এর আগেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব স্বপন কুমার সরকারের নেতৃত্বে কমিটি দুপুরে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়। মন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়নি। তবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি যে মনুষ্যসৃষ্ট ছিল-এটা তিনটি তদন্তেই প্রমাণ হয়েছে। এটা নাশকতামূলক বা কি অবহেলার কারণে হয়েছে, সেটা সংশ্লিষ্টদেরকে আইনের আওতায় এনে নিশ্চিত করা হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘তিনটা রিপোর্ট সমন্বয় করে সারাংশ তৈরি করে দুই এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্তও্রীর কাছে পাঠানো হবে। তার সিদ্ধান্তের আলোকেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ তিন তদন্ত কমিটি এই ঘটনায় মোট কয়জনকে চিহ্নিত করেছে-জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সংখ্যাটা আপাতত বলছি না। এখন পর্যন্ত নয় জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও নতুন নাম আসবে।’ যে নয়জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি না- জানতে চাইলে মেনন বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পরে বসে বসে সিদ্ধান্ত নেবো।’
Share this content: