
এবিএনএ : রাজধানীর গুলশানে ইতালিয় নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যাসহ ১৮টি নাশকতার ঘটনায় নব্য জেএমবি জড়িত বলে দাবি করেছে র্যাব।
পরে পুলিশ এই ঘটনায় ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এমএ কাইয়ুম, তার ভাইসহ সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে র্যাব ডিজি জঙ্গিদের বিভিন্ন সাংগঠনিক চিঠি ও নথিপত্র তুলে ধরেন।
নব্য জেএমবির গত ৬ অক্টোবরের একটি চিঠির সূত্র ধরে তিনি জানান, অন্তত ৩০০ সদস্য দিয়ে নব্য জেএমবি গঠিত হলেও বর্তমানে সংগঠনটির ২১ জন সদস্য সক্রিয় রয়েছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত এই সংগঠনটির বাকি সদস্যদের অনেকে র্যাব-পুলিশের হাতে নিহত হয়েছেন। কেউ কারাগারে রয়েছেন। আবার অনেকে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। জেএমবির সাংগঠনিক ওই চিঠিতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ‘তাগুত’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে লেখা ছিল, ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের ৩৩ জন সদস্য ছিল। বাকিরা ‘তাগুত’দের হাতে শহীদ হয়েছে এবং কারাগারে রয়েছে। তাদের ৫টি হ্যান্ডগান, ১টি একে-২২ রাইফেল এবং কিছু সংখ্যক ‘আম’ (গ্রেনেড) রয়েছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, নব্য জেএমবির এই ২১ সদস্যের মধ্যে দু’জন শুরা সদস্য, ১৯ জন মিড লেভেলের। তাদের সাংগঠনিক নাম পাওয়া গেছে। আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের সংখ্যা যেন ২১ থেকে ২২ না হয়।
র্যাবের অভিযানে একে-২২ এবং হ্যান্ডগানগুলো উদ্ধার হওয়ায় তাদের কাছে বর্তমানে কোনো অস্ত্র নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
Share this content: