এবিএনএ : ‘জেলের তালা ভাঙবো, খালেদাকে আনবো’-স্লোগানে মুখরিত রাজধানীর নয়াপল্টন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে এমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় দলটির কার্যালয়ের সামনের এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছিল সুনসান নীরবতা। এরপর দলের কার্যালয়ের সামনে এসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন্নবী খান সোহেল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। সেই সুযোগে ৮-১০ জন বিএনপি কর্মী কার্যালয়ের সামনে এসে সামনে বসে পড়েন। এরপর চতুর্দিক থেকে হঠাৎ মিছিল এসে ব্যাপক জনসমাগমের রূপ নেয় নয়াপল্টন।
এত মানুষের সমাগম দেখে উপস্থিত থাকা পুলিশের প্রশ্ন, এত মানুষ এলো কীভাবে? এ সময় নিরাপদ দূরত্বে সরে দাঁড়াতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। এরপর দুপুর দুইটার দিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করে বিএনপি।
সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আফরোজা আব্বাস, গয়েশ্বর রায়, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন্নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এর আগে, বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি শুরুর আগেই রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রাখে পুলিশ। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ছিল দলটির।
জানা গেছে, সকাল ৯টার পরপরই বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য বিএনপি কার্যালয়ের প্রধান ফটকের মুখোমুখি ফুটপাতে অবস্থান নেন। সেখানে দাঁড়িয়ে বেষ্টনী তৈরি করেন তারা। এসময় কার্যালয়ের ভেতর অবস্থান করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং অফিস কর্মীরা।
Share this content: