তেরেসা মে’র হার্ড ব্রেক্সিট আটকে দিতে পারেন এমপি, লর্ডরা

এবিএনএ : বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র হার্ড ব্রেক্সিট বা কঠোর ব্রেক্সিট পরিকল্পনা আটকে দিতে জোটবদ্ধ হচ্ছেন হাউজ অব কমন্সের এমপি ও হাউজ অব লর্ডসের সদস্যরা। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের পার্লামেন্ট ভাষণের পর তেরেসা মে বলেছেন, তিনি যদি তার কঠোর ব্রেক্সিট প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন না পান তাহলে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা ব্যর্থ হতে পারে। কিন্তু তাকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছে তার নিজ দল কনজারভেটিভের এমপি ও অন্য পার্টির এমপিরা। তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এমনিতেই এখন হাউজ অব কমন্স এবং হাউজ অব লর্ডসে ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। অর্থাৎ পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পর এখনও হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয় নি। এ অবস্থায় হাউজ অব লর্ডসে বিদ্রোহীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা দেশের ক্ষতি হয় এমন যেকোনো হার্ড ব্রেক্সিট বন্ধ করতে সর্ব শক্তি ব্যবহার করবেন। স্কটিশ জাতীয়তাবাদীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ জন্য তাদের দাবি দাওয়া আগেই তুলে দিয়েছে। তারা বলছে, যদি তিনি সেগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হন তাহলে তারা সরকারের ব্রেক্সিট বিষয়ক মূল যে ধারণা তাকে পথচ্যুত করবেন। একই রকম হুমকি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্রোহীরা। তাছাড়া তার এ পদের দিকে চোখ পড়েছে আরো অনেকের। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভাষণ রাখার পর তার মূল্যায়ন করে বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এ সময় রানী উত্থাপিত বিষয়গুলোতে আইন করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার দলের একজন সিনিয়র এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি কিছু পেতে চান তাহলে তাকে অধিক ঐকমত্যের ওপর ভিত্তি করে এগুতে হবে। এখনও চুক্তিবদ্ধ হয় নি ডিইউপি। আইন করতে যে পরিমাণ ভোট লাগবে তা এখনও অর্জন করতে পারবেন কিনা তেরেসা মে তাও নিশ্চিত নয়। কেউ কেউ তা বুঝতে পেরেছেন। অনেকেই বোঝেন নি। তবে শিগগিরই সবাই তা বুঝতে পারবেন বলে মত দেন ওই এমপি। লিবারেল ডেমোক্রেট দলের চিফ হুইপ অ্যালেস্টার কারমাইকেল বলেছেন, চাকরি ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে তারা ব্রেক্সিটের দিকে নজর দেবেন। এক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হবে। তিনি আরো বলেন, পার্লামেন্টে এখন কারো সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এ অবস্থায় সরকার পার্লামেন্টকে নিয়ন্ত্রণ করবে না, পার্লামেন্ট নিয়ন্ত্রণ করবে সরকারকে। সরকারের মধ্যে এখন দুর্বলতা আছে। তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে।
Share this content: