এবিএনএ : শীতের সময়ে নবজাতের জন্মের পর অন্য সময়ের চেয়ে একটু বেশি চিন্তায় পড়ে যান অভিভাবকরা। কারণ অন্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে নবজাতকদের একটু বাড়তি যত্ন নিতে হয়। কারণ এই সময়ে ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বর, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে।
শীতের সময়ে শিশুর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তাকে সুস্থ রাখতে গোসল করানো।বেশিরভাগ মায়েরা শিশুকে গোসল করাতে গিয়ে অসুখ বাঁধিয়ে ফেলে। তাই নবজাতকের মায়েদের শিশুকে গোসলের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মানিককুমার তালুকদার।
ডা. মানিককুমার তালুকদার বলেন, নবজাতকের যত্নের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তাকে সতর্ক হয়ে গোসল করাতে হবে। শীতে শিশুকে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে। এছাড়া গোসলের সময় যেন কানে পানি না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। খুব বেশি সময় ধরে নবজাতককে পানিতে রাখা ঠিক নয়। দুপুরের দিকে অর্থাৎ যখন রোদ বেশ ভালোভাবে থাকে, সেই সময়টাতে নবজাতককে গোসল করানো ভালো।
আসুন জেনে নেই শীতে নবজাতককে গোসল করাবেন কীভাবে
গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার
শীতে শিশুকে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচতে গোসলের সময় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। গোসলের সময় স্যাভলন, ডেটল বা এ ধরনের জীবাণুনাশক দেয়া উচিত নয়।
খুব বেশি সময় গোসল নয়
খুব বেশি সময় ধরে নবজাতককে পানিতে রাখা ঠিক নয়। দুপুরের দিকে অর্থাৎ যখন রোদ বেশ ভালোভাবে থাকে, সেই সময়টাতে নবজাতককে গোসল করানো ভালো। পূর্ণ গর্ভকাল পেরোনো শিশুদের জন্মের ৩ দিন পর থেকে ১৫ দিন বয়স পর্যন্ত সপ্তাহে একদিন গোসল করানো যেতে পারে। এরপর থেকে একদিন পরপর গোসল করানো যায়।
রোদে গোসল
রোদে গোসল করানো শিশুর জন্য ভালো। শহরের বাড়িতে বারান্দায়ও গোসল করানো যায় নবজাতককে। তবে ঠাণ্ডা হাওয়া বইলে বাইরে গোসল না করানোই ভালো।
চুল শ্যাম্পু
শিশুকে গোসল করানোর সময় শ্যাম্পু করানো যেতে পারে। শ্যাম্পু করার সময় বেশি সময় না নিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন খুব বেশি সময় ধরে শিশুকে পানির সংস্পর্শে রাখা না হয়। নবজাতকের চুল কাটানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হওয়ার কিছু নেই। দেড় থেকে দুই মাস বয়সের আগে শিশুর চুল না কাটালে ভালো।
ময়েশ্চারাইজ
শীতে শিশুর ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজ ব্যবহার আবশ্যক। গোসল করানোর পর কোমল টাওয়েল দিয়ে শরীর মোছার পর অলিভ অয়েল ও ভিটামিন-ইসমৃদ্ধ তেল গায়ে মাখতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে- লাগানো তেল বা লোশন যেন সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যালমুক্ত হয়।