
এবিএনএ : গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশের পাশাপশি র্যাব সদস্যরাও তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এমপি লিটনের প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করা না করা পর্যন্ত র্যাবের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। আজ শুক্রবার জুমআর নামাজের আগে র্যাব-১৩ রংপুর এর সদর দপ্তরে নিজ উদ্যোগে আয়োজিত শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধীসহ দুঃস্থদের মধ্যে কয়েক হাজার কম্বল বিতরণ করেন র্যাবের ডিজি। র্যারেব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে যেভাবে অর্থনৈতিক অগ্রগতি চলছে, আশা করি খুব শীঘ্রই দেশ থেকে দারিদ্র্য বিমোচন হবে। এই মুহুর্তে দেশের ৯ ভাগ মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করছে।
আগামি চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এই সংখ্যার হার শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। অর্থাৎ আগামিতে আর বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাসকারী কোনো মানুষ থাকবে না। অসহায় ক্ষুধার্ত পরিবারে কোন শিশু জন্মগ্রহণ করবে না। তখন এভাবে কম্বল বিতরণ করাও লাগবে না। র্যাবের প্রধান আরও বলেন, র্যাবের কিছু লোক ব্যক্তিগতভাবে অন্যায় কাজ করেছে। সেটা র্যাবের দায় নয়। এতে র্যাবের ভাবমুর্তি বিনষ্ট হয়েছে মনে করা যথাযথ হবে না। বরং গত ১৩ বছরে র্যাব বাংলাদেশের আইনশৃংখলা রক্ষার করার জন্য যে ত্যাগ, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠা প্রদর্শন করেছে তার জন্য মানুষের ভালাবাসাও পেয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে র্যাবের কেউ কোনো ধরনের অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে সাথে সাথেই তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেওয়া হয়েছে। শত শত র্যাব সদস্যকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি। মাতৃবাহিনীতে ফেরত পাঠিয়েছি। লঘু শাস্তি দিয়েছি। বড় ধরনের শাস্তি দিয়েছি। শাস্তি দেওয়ার ব্যপারে র্যাব কঠোর। কোনো ধরনের অপকর্ম, অন্যায় র্যাব কখনই সহ্য করবে না।
র্যাব-১৩ অধিনায়ক এটিএম আতিকুল্যাহর সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবীর ও অতিরিক্ত ডিআইজি বশির আহম্মদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলে এলাহি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেন, রংপুর র্যাব-১৩ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নজরুল ইসলাম, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
Share this content: