এবিএনএ : কুমিল্লার লাকসামে চট্টগ্রাম ফেরত ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্তের পর তার পরিবারের আরও পাঁচজনের শনাক্ত হয়েছে। সোমবার লাকসাম স্বাস্থ্যবিভাগের নিকট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ১৮ জনের রিপোর্ট আসে। তাদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন সহ সর্বমোট ৭ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
বাকী দুইজনের বাড়ি নাঙ্গলকোট। তারা লাকসামে বেড়াতে এসে স্বেচ্ছায় নমুনা দিয়েছিলেন। এ নিয়ে লাকসামে সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা যায়, গত ১১/১২দিন আগে চট্টগ্রাম থেকে লাকসামের বাসায় আসেন ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী। তিনি অন্য শহর থেকে এলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অবাধে পরিবারের সদস্যদের সংস্পর্শে যান। এছাড়া তিনি দৌলতগঞ্জ বাজার-রাজঘাট বাজারে কয়েকবার আসা-যাওয়া করতেন।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ মে) তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্যবিভাগকে তার শরীরে করোনা উপসর্গের বিষয়টি অবহিত করলে করোনা র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা তার নমুনা সংগ্রহ করেন। শুক্রবার (১৫ মে) গভীর রাতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ওই ব্যক্তির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিতের পরপরই প্রশাসন ও র্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্যরা তার বাড়ি ও আশে-পাশের ভবন লকডাউন ঘোষণা করেন। তাকে তাৎক্ষনিক হোম আইসলোশানে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
শনিবার (১৬ মে) ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের বাকী পাঁচ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ তাদের সকলের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এ নিয়ে ওই ব্যবসায়ী পরিবারের ৬ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী, স্ত্রী, তিন কন্যা ও এক ছেলে।
লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আবদুল আলী বলেন, লাকসামে এ পর্যন্ত ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ জন সুস্থ হয়ে ওঠেছে। বাকীদের চিকিৎসা চলছে। করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসা-বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
Share this content: