এবিএনএ : জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সারিকার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ এনেছেন নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ান। এ ব্যাপারে সারিকার মুঠোফোনে একাধিকার যোগাযোগ করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে সারিকা লিখেছেন, ‘শুটিং ডেট এর একদিন আগে ক্লায়েন্ট এর গাড়ি করে মানিকগঞ্জ (যেখানে একঘণ্টার কিছু বেশি সময় লাগে আমার বাসা থেকে যেতে) যাওয়া এবং আগেরদিন দিন এবং রাত সেখানে তার সাথে থাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাটা কি কোনো অপরাধের খাতায় পড়ে? এটা কি অপেশাদারিত্ব? ওয়েল উইশার প্লিজ শেয়ার ইওর ভিউ।
কাউকে মেনশন করে সারিকা লিখেননি ঠিকই কিন্তু মানিকগঞ্জে শুটিং ছিল নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের একটি বিজ্ঞাপনের। সারিকাকে একাধিকবার ফোনে না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পূর্ণিমাকে দিয়ে কাজটি করানো হয়। এক্ষেত্রে অভিযোগটা সারিকার দিক থেকে আসার পূর্বেই নির্মাতা আরিয়ানের দিক থেকেই আসে।
বিজ্ঞাপনের নির্মাতা জানান, সারিকার সঙ্গে কথা ছিল আগেরদিন (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় ইউনিটের গাড়িতে সে মানিকগঞ্জ যাবে। তারপর আমরা একটা রিহার্সেলের পর ভোরেই শুটিং করবো। সন্ধায় তো নয়ই ওই দিন রাত ১টা পর্যন্ত সারিকার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে পাইনি। উপায় না পেয়ে লোকসানের ভয়ে পূর্ণিমা আপাকে চূড়ান্ত করি। তাকে নিয়েই শুটিং করা হলো।
আরিয়ান বলেন, রাঙাপরীর এই বিজ্ঞাপনটি নির্মিত হচ্ছে বৈশাখ ও ঈদকে কেন্দ্র করে। এই বিজ্ঞাপনে সারিকার বদলে কাজ করছেন পূর্ণিমা এবং তার সহশিল্পী হিসেবে রয়েছেন চিত্রনায়ক ইমন।
এদিকে সারিকার এই অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন আর দায় এড়ানো বলে উল্লেখ করেছেন রাঙাপরী মেহেদির তথা মুসলিম কসমেটিকসের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার। তিনি বলেন, এর আগে কলকাতার শুভশ্রীকে নিয়েও নিয়ে কাজ করেছি। তারা কেউ আমার নামে এ ধরনের বাজে অভিযোগ করেননি। সারিকা নিজের দোষ চাপানোর জন্য আমার নামে বাজে কথা ছড়াচ্ছে।
মাসুম সরকার আরও বলেন, তার যদি আমাদের সঙ্গে যেতে সমস্যা থাকতো সে তো ফোনে আমাদের জানাতে পারতো। কিন্তু কোনো ধরনের যোগাযোগ সে করেনি। অনেক কষ্টে পরে পূর্ণিমাকে দিয়ে কাজটি করাচ্ছি। তারপরেও সারিকা না আসায় আমার অনেক লোকসান গুনতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা সে আমার সম্মান নষ্টের চেষ্টা করছে।