বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজশিক্ষা

কোটা আন্দোলনের নুর ডাকসু ভিপি ছাত্রলীগের রাব্বানী জিএস ও সাদ্দাম এজিএস

এবিএনএ: বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে বিজয়ী হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর। তিনি ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি পদে নির্বাচন করেন। নুর ১১ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তবে জিএস, এজিএসসহ ডাকসুর বেশিরভাগ পদে ছাত্রলীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। জিএস পদে গোলাম রাব্বানী ও এজিএস পদে সাদ্দাম হোসাইন বিজয়ী হন। ভিপি ছাড়াও সমাজসেবা সম্পাদক পদে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্যানেলের আখতার হোসেন জয়লাভ করেন।

সোমবার রাত ৩টা ২৪ মিনিটে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ডাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন। ঘোষণার আগে তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর পর এ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে কিছু ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। হয়তো সবকিছুই নিখুঁত হয়নি। কিন্তু সার্বিকভাবে নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে গণতান্ত্রিক রীতি মেনেই হয়েছে। তিনি প্রথমেই ভিপি পদে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্রার্থী নুরুল হককে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। তার এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা ভুয়া ভুয়া বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে জিএসসহ অন্যান্য পদে  ছাত্রলীগ প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা আসতে থাকলে পরিস্থিতি সাময়িক শান্ত হয়। সার্বিক ফল ঘোষণার পর উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রেখে ভিপি পদের ফল পুনর্বিবেচনার দাবি জানাতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

নুরুল হক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আন্দোলনের সময় তিনি একাধিকবার ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। গতকাল নির্বাচনের দিনও বেগম রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের নারীকর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ছাত্র সংরক্ষণ অধিকার পরিষদসহ আরও তিনটি প্যানেল একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়। তারা ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশেরও ঘোষণা দেয়। ভোট বর্জনের পর শুধু ছাত্রলীগের প্যানেলই নির্বাচনে থেকে যায়। এর ফলে সবার মধ্যে ধারণা ছড়িয়ে পড়ে, ডাকসুতে পূর্ণ প্যানেলে জয় পাবে ছাত্রলীগ। কিন্তু গভীর রাতে ভোটের ফলে নুরুল হকের জয়লাভের ঘোষণা নতুন চমক নিয়ে আসে।

ডাকসুতে নির্বাচিত অন্যরা হলেন : মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সম্পাদক সাদ বিন কাদের, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বিএম লিপি আক্তার, আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহরিমা তানজিলা অর্ণি, সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবির শয়ন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার, সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন (স্বতন্ত্র), ছাত্র পরিবহন সম্পাদক শামস ই নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক শাকিল আহমেদ তানভীর এবং সদস্যরা হলেন যোশীশ সাংমা (চিবল), নজরুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান রাকিব, রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, তানভীর হাসান সৈকত, রাইসা নাসের, সাবরিনা ইতি, ফরিদা পারভীন, নিপু ইসলাম তন্বী, সবুজ তালুকদার, তিলোত্তমা শিকদার, সাইফুল ইসলাম রাসেল ও মাহমুদুল হাসান।

নির্বাচনে ১৮টি হলের মধ্যে ভিপি পদে ছাত্রলীগের ১২ জন ও স্বতন্ত্র ৬ জন বিজয়ী হয়েছেন। জিএস পদে ছাত্রলীগের ১৪ ও স্বতন্ত্র ৪ জন জয়ী হয়েছেন।

গতকাল সকাল ৮টায় শুরু হয় বহুল প্রতীক্ষিত ডাকসুর নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন। নির্বাচনে অংশ নেওয়া অন্য সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক আগে দুপুর ১টার দিকে নির্বাচন বর্জন করেন।

নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা শিক্ষকরাও ভোট নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেছেন, তিনি বিব্রত। তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ। সাধারণ ভোটারদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, পুরো নির্বাচন ছিল ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রিত। বহু সাধারণ ছাত্র ভোট দিতে পারেননি। ছাত্রলীগের দাবি, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে নাটক করেছে নির্বাচন বর্জনকারীরা।

দ্বিতীয় সংসদ খ্যাত ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ ছিল দেশজুড়ে। কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে এক সপ্তাহের প্রচার শেষে গতকাল সকালে ভোট শুরু হয় শান্তিপূর্ণভাবেই। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসতে থাকে কারচুপির অভিযোগ। উত্তপ্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে মুখর ছিল এ অভিযোগ নিয়ে। তবে ছাত্রলীগ এসব অভিযোগকে গুজব বলেছে। মামলা করার কথাও বলেছে।

ভোট গ্রহণ শুরুর আধঘণ্টা পর কুয়েত মৈত্রী হলে ছাত্রলীগের প্যানেলের পক্ষে ক্রস চিহ্ন দেওয়া বস্তাভর্তি ব্যালট উদ্ধারের পর চিত্র বদলে যেতে শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কারচুপির অভিযোগ স্বীকার করে হলের প্রাধ্যক্ষকে বরখাস্ত করে নতুন একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ কারণে এই হলে তিন ঘণ্টা পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

এরপর রোকেয়া হলেও একইভাবে ট্রাঙ্কভর্তি ব্যালট পাওয়ার দাবি করেন ছাত্রীরা। এ হলেই সবচেয়ে বেশি ভোটার। রোকেয়া হলে পাওয়া ব্যালটগুলোতে ক্রস চিহ্ন দেওয়া ছিল না বলে দাবি করে ছাত্রলীগ। এরপর একে একে কবি সুফিয়া কামাল হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, স্যার এএফ রহমান হলসহ অধিকাংশ হল ঘিরেই ছাত্রলীগের কেন্দ্র দখল করে রাখা, ভোট প্রদানে বাধাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ আসতেই থাকে।

হলগুলোতে ছাত্রলীগের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে ছাত্রলীগ কর্মীদের পৃথক লাইন করে শুধু তাদেরই ভোটের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ তোলেন ছাত্রলীগ ছাড়া বাকি চারটি প্যানেলের প্রার্থীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্যানেলের ভিপি প্রার্থী নুরুল হককে রোকেয়া হলে ছাত্রলীগ মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন তার সমর্থকরা। ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্যের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দীও ছাত্রলীগ কর্মীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে ‘বিজয়ী করতে নীলনকশার নির্বাচন হচ্ছে’ দাবি করে দুপুরেই ছাত্রলীগ বাদে অন্য সব প্যানেল একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন এবং ভোট বাতিল করে পুনঃতফসিলের দাবি জানান তারা।

এ দাবিতে বিক্ষোভের মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষে ফল ঘোষণা করা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নির্বাচন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ডাকসু নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে হয়েছে বলে ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ নেতারা।

তবে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সব প্যানেল ও ছাত্র সংগঠনের নেতারা উপাচার্যের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তারা আজ ক্যাম্পাসে ছাত্র বিক্ষোভ কর্মসূচিরও ঘোষণা দেন। তারা আজ মঙ্গলবার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল : পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। হোসাইন আহমেদ সোহান (ভিপি), ইরফানুল হাই সৌরভ (জিএস), সোহেল আহমদ মিলন (এজিএস), মনোয়ার হোসেন ব্রাইট (সাহিত্য সম্পাদক), হেলাল উদ্দিন তাইসিন (সংস্কৃতি সম্পাদক), শামসুর রহমান সুইট (রিডিংরুম সম্পাদক), মাহমুদুল হাসান বাবু (ইনডোর সম্পাদক), ইমরান হোসেন (আউটডোর সম্পাদক), আল মাসুম সুইট (সমাজসেবা সম্পাদক) এবং ইমরান খান (সদস্য), সাইফুল ইসলাম (সদস্য), মামুন আলী (সদস্য), মাজহারুল ইসলাম আকাশ (সদস্য)।

হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল : পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। শহিদুল হক শিশির (ভিপি), মেহেদী হাসান মিজান (জিএস), মো. সাদিল আব্বাস (এজিএস), আবদুল্লাহ আল মামুন (সাহিত্য), ইমরান হাসান (সংস্কৃতি), বিল্লাল হোসেন (রিডিংরুম), শাহরিয়ার সনেট (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), জাহিদুল ইসলাম (আউটডোর), আবুল হোসেন (সমাজসেবা) এবং আবদুর রহমান (সদস্য), শাহ ইবনে সোয়াদ (সদস্য), মো. জাহাঙ্গীর আলম (সদস্য) ও মুজাহিদুল ইসলাম (সদস্য)।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল : দুটি পদ বাদে সবক’টিতে জয়ী হয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের জয়ীরা হলেন আকমল হোসেন (ভিপি), মেহেদী হাসান শান্ত (জিএস), মো. জুলফিকার হাসান (এজিএস), আবদুল কাদের (সাহিত্য), আজাহারুল ইসলাম সুমন (রিডিংরুম), মুনতাসির মমতাজ (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), মাহমুদুল হাসান পলাশ (আউটডোর), মাহবুবুর রহমান (সমাজসেবা) এবং আসির মুরাদ তালুকদার (সদস্য), লিয়ন খান (সদস্য) ও ফারুক শেখ (সদস্য)। ছাত্রলীগের বাইরে নির্বাচিত হয়েছেন ইয়াসিন আরাফাত (সংস্কৃতি) ও আতাউল্লাহ মুহাম্মদ আরমান (সদস্য)।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল : ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী রিকি হায়দার আশা। আরও দুটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তারা হলেন তাসলিন হালিম মিম (সংস্কৃতি) ও খাদিজা (সাহিত্য)। ছাত্রলীগের বিজয়ীরা হলেন- সারা বিনতে কামাল (জিএস), সাবরিনা স্বর্ণা (এজিএস), সানজানা ইয়াসমিন (রিডিংরুম), রিয়া আক্তার (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), পাপিয়া আক্তার (আউটডোর), ইসরাত জাহান ইতি (সমাজসেবা) এবং জান্নাতুল তাজরিন নিপা (সদস্য), ঋতু আক্তার (সদস্য), আলো আক্তার (সদস্য) ও মুনিয়া সুলতানা (সদস্য)।

শামসুন নাহার হল : স্বতন্ত্র প্যানেল থেকে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ আটজন জয়ী হয়েছেন। বাকি পাঁচ পদে জিতেছেন ছাত্রলীগের প্রার্থী। স্বতন্ত্র প্যানেলের নির্বাচিতরা হলেন শেখ তাসনিম আফরোজ (ভিপি), জিএস আফসানা ছপা (জিএস), ফতিমা আক্তার (এজিএস), সামিয়াজ জাহান (সংস্কৃতি), তাহসিন (সাহিত্য), শিরিন আক্তার (সমাজসেবা), খাদিজা বেগম ও তাসনিম উপমা (সদস্য)। ছাত্রলীগের বিশাখা দাশ ইরা (রিডিংরুম), সাবিহা মাহমুদ নীলা (আউটডোর), সীমা সরকার (সদস্য), আফসানা আক্তার (সদস্য), মাহমুদা আক্তার তমা (সদস্য) ও ফারহানা ইসলাম লীনা (সদস্য)।

বিজয় একাত্তর হল : পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। সজিবুর রহমান সজিব (ভিপি), নাজমুল হাসান নিশান (জিএস), আবু ইউনুস (এজিএস), ফাহিম হাসান (সাহিত্য), রনো আনোয়ার (সংস্কৃতি), শিবলী নোমান (রিডিংরুম), সুজন (ইনডোর), মীর বনি ইয়ামিন (আউটডোর), নুরুল ইসলাম রোমান (সমাজসেবা) এবং রাকিব শেখ (সদস্য), শফিক ফকির (সদস্য), রাইয়ান (সদস্য), মাহফুজ হিমু (সদস্য)।

কবি জসীম উদ্‌দীন হল : পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। ফরহাদ উদ্দিন (ভিপি), ইমাম হাসান (জিএস), সাইফুল ইসলাম (এজিএস), আবদুল্লা আল নোমান (সাহিত্য), ইমাম উল হাসান (সংস্কৃতি), নাসির উদ্দিন (রিডিংরুম), মো. লুৎফর রহমান (ইনডোর), জাহিদ হাসান (আউটডোর), গোলাম কিবরিয়া (সমাজসেবা) এবং মুহাসিন আলম তালুকদার (সদস্য), নাঈম মোল্লা (সদস্য), আহসানুল হক শিমুল (সদস্য) ও আবদুল্লাহ সোহাগ (সদস্য)।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল : জিএস বাদে সব পদে জয়ী ছাত্রলীগ। সাইফুল্লাহ আব্বাসী অনন্ত (ভিপি), তৌফিকুল ইসলাম (জিএস), সুরাপ মিয়া সোহাগ (এজিএস), কামাল উদ্দিন রানা (সাহিত্য), শাকিল আহমেদ (সংস্কৃতি), আনোয়ার হোসেন (রিডিংরুম), সোহেল রহমান (ইনডোর), আনন্দ কবির (আউটডোর), ফরহাদ মোহাম্মদ (সমাজসেবা) এবং ফাহাত তানভীর নাইম (সদস্য), জুবলী রহমত (সদস্য), বজলুর রহমান (সদস্য), এস এম নাদিউর রহমান (সদস্য)।

মাস্টারদা সূর্য সেন হল : সম্পাদকীয় দুই পদ বাদে সবক’টিতে জয়ী ছাত্রলীগ। তারা হলেন- মারিয়াম জামান খান (ভিপি), সিয়াম রহমান (জিএস), সালাম মোরশেদ (এজিএস), জুবায়ের আহমেদ (সাংস্কৃতিক), রেজওয়ান শাওন (রিডিংরুম), সৌরভ হোসেন (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), জহিরুল ইসলাম (সমাজসেবা), মিরাজ ইরফান চৌধুরী (সদস্য), আরিফ (সদস্য), তুষার হোসেন (সদস্য) ও আব্দুল্লাহ খান শৈশব (সদস্য)। ছাত্রলীগের বাইরে জয়ী হয়েছেন জুলহাস সুজন (আউটডোর গেম) ও আল সাদী ভূঁইয়া (সাহিত্য)।

স্যার এফ রহমান হল : সব পদে জয়ী ছাত্রলীগ। আব্দুল আলীম খান (ভিপি), আব্দুর রহিম সরকার (জিএস), আল আমিন (এজিএস), তানজিদ ইমরান তালাশ (সাহিত্য), মুনায়েম শাহরিয়ার মুন (সাংস্কৃতিক), ফয়সাল মাহমুদ (রিডিংরুম), আব্দুল মঈন (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), আরিফ হোসেন (আউটডোর), তানজিল আলামিন (সমাজসেবা), আশিকুর লাভলু (সদস্য), ইমদাদুল হক চঞ্চল (সদস্য), সাকিব চৌধুরী (সদস্য) ও আবু তালেব লিমন (সদস্য)।

জগন্নাথ হল :  পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয় পেয়েছে ছাত্রলীগ। উৎপল বিশ্বাস (ভিপি), কাজল দাশ (জিএস), অতুনু বর্মণ (এজিএস), জয়জিত দত্ত (সাহিত্য), কাজী লাল রায় (সাংস্কৃতিক), রিন্টু বড়ূয়া (রিডিংরুম), পলাশ চন্দ্র রায় (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), অর্ণব হোর (আউটডোর), প্রদীপ দাস (সমাজসেবা), বিবেক অনুব (সদস্য), মিঠু শীল (সদস্য), বিভু সরকার শুভ্র (সদস্য) ও রঞ্জন (সদস্য)।

অমর একুশে হল : স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান সুমন ভিপি হয়েছেন। বাকি পদগুলো ছাত্রলীগের। জিএস আহসান হাবিব (জিএস), এজিএস আলিফ আল আহমেদ (এজিএস), কাজী আরিফুর রহমান (সাহিত্য), আতিকুর রহমান নাহিদ (সাংস্কৃতিক), তারিকুল ইসলাম রাজিব (রিডিংরুম), মুরসালিন অনু (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), সম্পাদক সোয়েব (আউটডোর), মইনুর হোসাইন তানবির (সমাজসেবা), সার্জিজ আলম (সদস্য), আল আমিন গাজী (সদস্য), মেহেদী হাসান পান্না (সদস্য) এবং আদিদ আহমেদ খান (সদস্য )।

মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল সংসদ : সব পদে জয়ী ছাত্রলীগ। শরিফুল ইসলাম শাকিল (ভিপি), হাসিবুল হোসেন শান্ত (জিএস), আব্দুল্লাহ আল মুমিন আবির (এজিএস), অনিন্দ্য জাহিদ (সাহিত্য), অহিদুর জামান (সাংস্কৃতিক), আব্দুল মান্নান (রিডিংরুম), সজীব মিয়া (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), মিরাজ ইসলাম সিফাত (আউটডোর), কাওসার হোসেন (সমাজসেবা), আমির হোসেন মুরাদ (সদস্য), রিফাত পাটওয়ারী (সদস্য), আলী হোসাইন (সদস্য) ও শাহরিয়াদ ইসলাম (সদস্য)।

ফজলুল হক মুসলিম হল : ভিপিসহ পাঁচ পদে জয় পেয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা হলেন- মাহমুদুল হাসান তমাল (ভিপি ) খন্দকার বাপ্পী (আউটডোর), আবদুর রাকীব (রিডিংরুম), শামিম (সদস্য) এবং মাহবুব (সদস্য)। ছাত্রলীগের জয়ী আটজন হলেন- মাহফুজুর রহমান (জিএস), শাহিনুর (এজিএস), রওনক ইসলাম (অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া), রানা আরাফাত (সমাজসেবা), ইমরান হোসেন (সাংস্কৃতিক), আবু হাসিব (সাহিত্য), কাইছার (সদস্য) ও রাফসান (সদস্য)।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হল : পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে জয়ী ছাত্রলীগ। কামাল উদ্দিন (ভিপি), জুলিয়াস সিজার তালুকদার (জিএস), নওশের আহমেদ (এজিএস), আকিব মোহাম্মদ ফুয়াদ (সাহিত্য), মোস্তফা সরকার মিসাদ (সাংস্কৃতিক), সোহরাব হোসেন চৌধুরী (রিডিংরুম), আব্দুল কাহহার ফাহিম (ইনডোর গেম), মিলন খান (সমাজসেবা), সামসুল আরেফিন সেজান (সদস্য), রাকিবুল হাসান (সদস্য), মাসুম পারভেজ সানি (সদস্য), মাহবুবুল আলম মিলন (সদস্য)।

বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল :  স্বতন্ত্র প্রার্থী সুস্মিতা দে ভিপি ও সাগুপ্তা বুশরা জিএস নির্বাচিত হয়েছেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ হলের অন্য প্রার্থীদের ফলাফল পাওয়া যায়নি।

রোকেয়া হল : ছাত্রলীগের ইশরাত জাহান তন্বী ভিপি, সায়মা আক্তার প্রমি জিএস ও ফাল্কগ্দুনী দাস এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া ছাত্রলীগের প্রেমা দেবনাথ (সাহিত্য), নুসরাত জাহান সুরমা (সংস্কৃতি) মজিদা নাসরিন মম (রিডিং রুম), ঊর্মি ঘোষ (সমাজসেবা), ইসাবেলা সামিরা (সদস্য), সাফরিন সুরাইয়া (সদস্য), আসমা খাতুন (সদস্য), নুর বানু মুক্তা (সদস্য) নির্বাচিত হয়েছেন। আর ইনডোর ও আউটডোর গেম সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

কবি সুফিয়া কামাল হল :  সুফিয়া কামাল হলে ভিপি নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তানজিলা আক্তার সোমা। জিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরা শারমিন জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া আরও সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের তিন ও ছাত্র ইউনিয়নের একজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

Share this content:

Related Articles

Back to top button