বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

রংপুরের নির্বাচনের ফল সবার গ্রহণ করা উচিত

এবিএনএ : রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল সবার গ্রহণ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকা থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘রংপুরের নির্বাচনের সময় কতগুলো ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বাধা দিয়েছে। আমাদের ঠিকমতো নির্বাচনী প্রচারণা করতে দেয়নি। অন্য দলগুলোকে বেশি প্রচারণা করতে দিয়েছে। তারপরও সব মিলিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’

ফলাফল ঘোষণার আগেই আওয়ামী লীগের পরাজয় মেনে নেওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি এটাকে বেটার কালচার (তুলনামূলক ভালো সংস্কৃতি) মনে করছি। বিদেশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, ট্রেন্ড (প্রবণতা) চলে যাচ্ছে ভিক্টরির (জয়ের) দিকে, তখন অন্য দলগুলো পরাজয় স্বীকার করে নেয়।’ তিনি বলেন, ‘আমি রংপুরে গিয়েছিলাম। কোনো উত্তেজনাই ছিল না। এটার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে একটা কারণ হতে পারে যে ক্যান্ডিডেটস আর নট ভেরি সুইটেবল, সব দলেই। রংপুরের মতো জায়গায় ৩৫ হাজার ভোট পাওয়া কিন্তু কম নয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবাই জানি, ওখানে একটা এরশাদ সিনড্রোম কাজ করে। এরশাদ সাহেব নিয়ম ভঙ্গ করে আগের দিন আমার সঙ্গেই রংপুরে গেছেন। উনি (এরশাদ) সারা রাত রংপুরে ছিলেন, ভোট দিয়ে এসেছেন। তাঁর উপস্থিতিটাও ওখানে কাজ করেছে। তবে আমি মনে করি, ওভার অল নির্বাচন সবারই গ্রহণ করা উচিত।’ ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাড়িতে শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

রংপুরে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পর নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা বেড়েছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের কোনোই আস্থা নেই। কারণ, নির্বাচন কমিশনের গঠন প্রণালিটাই হয়েছে ভুল। রংপুরের নির্বাচন যতই ভালো করুক না কেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট আছে, আমরা মনে করি সর্বজনগ্রাহ্য ব্যক্তিত্ব যদি নির্বাচন কমিশনকে নেতৃত্ব না দেন, তাহলে সেই নির্বাচন কমিশন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা তো রংপুরের নির্বাচন, আর একটা নির্বাচন হলেই বোঝা যাবে যে নির্বাচন কমিশন কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই নির্বাচন কমিশনারের প্রতি এখনো আস্থা রাখার মতো কিছু আছে বলে মনে করি না।’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম শর্ত হলো নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সরকারবিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে ও কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। সরকার যদি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন চাপিয়ে দিতে চায়, তবে দেশের মানুষ সে নির্বাচন গ্রহণ করবে না। আর রাজনৈতিক সংকট নিরসন হবে না। জামায়াতের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য নয়, আন্দোলনের জন্য জামায়াতের সঙ্গে আমাদের জোট এখনো ভেঙে যায়নি।’

Share this content:

Related Articles

Back to top button