জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

যাদের অট্টালিকা-ফ্ল্যাট-বাড়ি সবই আছে, তাদের আরও লাগবে কেন: প্রধানমন্ত্রী

এবিএনএ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যাদের এত বিশাল বিশাল অট্টালিকা, বাড়িঘর ফ্ল্যাট সবই আছে, তাদের আরো লাগবে কেন? মরলে তো সবাইকে যেতে হবে সেই কবরে- মাত্র তিন হাত-সাড়ে তিন হাত জায়গায়। এই ধনসম্পদ কেউ সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবে না। এই কথাটা মানুষ কেন ভুলে যায় আমি জানি না।

যারা প্লটের বরাদ্দ পেয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিন্তু যাদের সত্যিকার প্রাপ্য, আপনারা কিন্তু বঞ্চিত ছিলেন। কাজেই আমার সব সময় একটা প্রচেষ্টা ছিল যে কীভাবে আপনাদের বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেব। আপনারা জমি দিয়েছেন, অথচ আপনারা প্লট পাবেন না এটা হতে পারে না।

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে পূর্বাচলে জাতির পিতার স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের একটা প্রকল্প অনুমোদনের প্রস্তাব এলেও তাতে সায় দেননি বলে অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান জানান। তিনি আরও বলেন, সেই ফাইলে আমি লিখে দিয়েছিলাম, এখানকার যারা আদিবাসী তারা প্লট পাবে। তারপর আমি এ প্রকল্পের অনুমোদন দেব। তার আগে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেব না এবং কীভাবে প্লট বের করবে সেটা যেন মন্ত্রণালয় বা রাজউক যেন খুঁজে বের করে- সেই নির্দেশনাটাই আমি দিয়েছি।

‘আমি এইটুকু চাই- বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। যেইটুকু পারি, যেভাবে পারি একটা মানুষকে একটা ঘর, একটা মাথা গোজার ঠাঁই সেটা আমরা করে দেব এবং প্রত্যেকটা ঘরেই বিদ্যুৎ থাকবে, আলো জ্বলবে। প্রতিটি পরিবারেই শিক্ষিত মানুষ থাকবে, লেখাপড়া শিখবে।’

অনুষ্ঠানস্থলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ অধিবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্লটের বরাদ্দপত্র তুলে দেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্র প্রান্তে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Share this content:

Back to top button