এবিএনএ : ঘূর্ণিঝড় মোরায় ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় দশম জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশনে সরকাল দলীয় সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মোরায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে এরই মধ্যে দল ও প্রশাসন কাজ করছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর ১২টি জাহাজ ও দুটি টহল বিমান কাজ করছে।
তিনি বলেন, দুর্যোগের সময় যাতে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা না দেয় সেই জন্যে চাল আমদানি করা হচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের খাদ্য ও বাড়িঘর মেরামতে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ভোরে মোরা’র আঘাতের পর সেখানে উদ্ধার কাজে প্রশাসনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরাও অংশ নিয়েছে। সরকার সব সময় দুর্গতদের পাশে আছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশের কোনো মানুষ খাদ্য ও বাসস্থানের কষ্ট করবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে ১শ’ টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ২শ’ ২০টির নির্মাণকাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে উদ্ধার তৎপরতার জন্য ১২টি স্মল মেরিন রেসকিউ বোট, ৪টি একুয়াটিক সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ বোট, ১৩টি উদ্ধার মোটরযান কেনা হয়েছে।
এছাড়া আগাম সতর্কবার্তা পাঠানোর জন্য মেগাসাইরেন ফোন এবং স্যাটেলাইট মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হচ্ছে। আপদকালীন সময়ে মানবিক সহায়তা হিসেবে শুকনো খাবার, জিআর চাল, জিআর ক্যাশ, চাল, ঢেউটিন, কম্বল ও সাময়িক আশ্রয়ের জন্য তাবু বরাদ্দ দেয়ার জন্য মজুদ রাখা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ অথবা পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জুলাই ২০০৯ হতে জুন ২০১৬ পর্যন্ত ৬৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং প্রায় এক হাজার ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ পুনঃনির্মাণ বা পুনরাকৃতিকরণ করা হয়েছে।
এদিকে সংসদ সদস্য হিসেবে ডিজিটাল পরিচয়পত্র নিয়ে আজ সংসদে হাজিরা দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংসদকক্ষে তাকে নীল ফিতায় সবুজ রঙের নতুন পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিতে দেখা যায়।
Share this content: