
এবিএনএ : জার্মানির হামবুর্গে জি-২০ সম্মেলনে বাবার অনুপস্থিতিতে তাঁর জন্য নির্ধারিত আসনে বসে পড়েছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে মেয়ের পক্ষেই সাফাই গাইলেন বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গতকাল সোমবার এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, হিলারি ক্লিনটনের মেয়ে চেলসি ক্লিনটনকে যদি তাঁর মায়ের আসনে বসতে বলা হতো, তাহলে ভুয়া সংবাদমাধ্যমগুলো বলত, চেলসিকেই তারা প্রেসিডেন্ট দেখতে চায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। তাঁর স্বামী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এই দম্পতির মেয়ে চেলসি ক্লিনটন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইট চুপচাপ হজম করেননি।
শান্ত স্বভাবের চেলসি পাল্টা টুইটে লিখেছেন, ‘শুভ সকাল মি. প্রেসিডেন্ট। মা-বাবা কখনোই আমাকে এটা করতে বলতেন না।’
জার্মানির হামবুর্গে উন্নত অর্থনীতির ২০টি দেশ জি-২০ সম্মেলনে ট্রাম্পের সফরসঙ্গী ছিলেন মেয়ে ইভাঙ্কা। গত রশনিবার সম্মেলনের এক ফাঁকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট উইদোদোর সঙ্গে বৈঠক করার জন্য নিজের আসন ছেড়ে যান ট্রাম্প। তাঁর আসনের দুই পাশে বসেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তখন এসে বাবার আসনে বসেন ইভাঙ্কা। এই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়ে দেন রাশিয়ার এক কর্মকর্তা। এরপর থেকে ইভাঙ্কার কাজ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বলছেন, ইভাঙ্কা অনির্বাচিত। হোক না তিনি প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা। তাঁর তুলনায় উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তারা সম্মেলনে ছিলেন। তাঁদের ট্রাম্পের স্থানে বসার কথা, ইভাঙ্কার নয়।
ইভাঙ্কার কাজের তীব্র সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা লরেন্স সামারস। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলন চলাকালে কোনো দেশের প্রধানের চেয়ার ছেড়ে যাওয়াটা বিরল। আর যদি কেউ চলে যায়ও সে ক্ষেত্রে তাঁর আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বসার কথা। এমন একটি আসনে সরকারপ্রধানের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের বসার নজির নেই। এ ঘটনার মাধ্যমে উপস্থিত ব্যক্তিদের অসম্মান করা হয়েছে।
সমালোচনার মুখে থাকা ইভাঙ্কার পক্ষে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা এগিয়ে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি অন্যতম। তিনি ইভাঙ্কার কাজকে সমর্থন করে যুক্তি দিয়েছেন।
সমালোচনা হলেও বিষয়টিকে সহজভাবে দেখেছেন জি-২০ সম্মেলনের আয়োজক জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি বলেছেন, সম্মেলনে ইভাঙ্কা মার্কিন প্রতিনিধিদলেরই একজন সদস্য ছিলেন।
Share this content: