
এবিএনএ : পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার নাম সদরুল আলম পিন্টু। তিনি পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। রবিবার সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত হওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে মারা যান তিনি।
পিন্টুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার দাদা জামাল হোসেন। নিহত পিন্টু উপজেলার চর রুপপুর গ্রামের আব্দুল আজাদের ছেলে। পারিবারিক সূত্র ও পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পাকশী রূপপুর মোড়ে পিন্টুকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। পরে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই পিন্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ছয়টার দিকে মারা যায় পিন্টু। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, গুলিবিদ্ধ পিন্টু মারা গেছে বলে শুনেছি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা নেই। পরে বলতে পারব। কে বা কারা কী কারণে পিন্টুকে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক বলতে পারেনি। তবে স্থানীয় বেশ কয়েটি সূত্র জানিয়েছে, পাকশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর আগে একই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ হোসেন টুনটুনি’র এক হাত কেটে নিয়ে মোটরসাইকেলে উল্লাস করেছিলেন পিন্টু। এর জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন পিন্টুকে হত্যা করতে পারে বলে তাদের ধারণা।
Share this content: