এবিএনএ: মৃত্যুফাঁদ তৈরি করে দেশের মানুষকে হত্যা করে বিএনপি- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির মাথা নেই। তাদের নেতৃত্ব দেবে কে? বিদেশ থেকে আসে এক নির্দেশনা। পল্টন থেকে আসে এক নির্দেশনা। কোনটা পালন করবে তাদের নেতাকর্মীরা? রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের মানুষের জন্য কাজ করে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা দেশের মধ্যে আগুন সন্ত্রাস শুরু করছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বানচালের নামে বিএনপি রেল লাইন কেটে মৃত্যুর ফাঁদ পেতে তারা মানুষ হত্যা করেছে।জিয়া আর খালেদা জিয়ার মতো লন্ডনে বসে হুকুম দেয় তারেক রহমান। ওখান থেকে হুকুম দেয় আর এখান থেকে আগুন দেয়। এটা তারা কী করছে। এই আগুন নিয়ে খেলা, এই খেলা ভালো না, বাংলাদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না। রেল লাইন কাটা এবং অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করছে বিএনপি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এর আগে ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে, আন্দোলনের নামে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। বাসে, গাড়িতে, ট্রেনে লঞ্চে-সব জায়গায় তারা আগুন দিয়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে চেয়েছিল, পারেনি। তাদের এই অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার আজকে কতো মানুষ পোড়া শরীর নিয়ে কাতর, অসহায় জীবনযাপন করে।
বিএনপির জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাত ধরে- এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ভোট কারচুপি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনলে খুব অবাক লাগে। ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, ভোট কারচুপি করা, সিল মারা, হ্যাঁ-না ভোট দিয়ে হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরা, এগুলো কে করেছে? এগুলো তো জিয়াউর রহমানই শুরু করেছেন। তারা আবার ভোটের অধিকারের কথা বলেন। জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল করে এসবের শুরু করেছেন। বিএনপিকে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করবে কীভাবে?’
সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নয়, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে।এদের চরিত্র কখনো বদলাবে না। জনগণের কল্যাণ-মঙ্গলের কথা এরা চিন্তা করে না। নিজেদের কথাটা ভালো বোঝে। যখনই ক্ষমতায় এসেছে অর্থ সম্পদ বানানো, বিদেশে অর্থ পাচার করা, মানি লন্ডারিং করা, এমনকি এতিমের অর্থ পর্যন্ত আত্মসাৎ করেছে। আর তাদের কাছ থেকে বড় বড় কথা শুনতে হয়। এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। সেই সময়ে ওই নির্বাচন কিন্তু কেউ মেনে নেয়নি। জনগণের আন্দোলনের কারণে খালেদা জিয়া ৩০ মার্চ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এটাও সবাইকে মনে রাখতে হবে। ভোট চুরি অপবাদ মাথায় নিয়ে খালেদা জিয়া বিদায় নেন। যারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা দেশের জন্য দুর্ভাগ্যের। জোর করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে জনরোষের আন্দোলনে ছিয়ানব্বইতে ভোট চুরির অপবাদ নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। দেশের মানুষই তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলেন।শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি হরতাল ডেকে চুপ করে ঘরে থাকে। তারা যে আন্দোলন করে আগুনসন্ত্রাস করে, এতো টাকার উৎস কোথায়? হাওয়া ভবন খুলে অস্ত্র চোরাকারবারি, মানি লন্ডারিং করে টাকা পাচার করেছে বিএনপি। যারা আগুন দেয় এবং রেল লাইন কাটবে তাদের ধরিয়ে দিতে হবে। ধ্বংসাত্মক কাজ চলতে পারে না।