
এবিএনএ : তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারোটার দিকে ভুটানের উদ্দেশে ছেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রী ও সফরসঙ্গীদের বহনকারী ড্রুক এয়ার কেবি-৩০৩ ভিভিআইপি ফ্লাইটটি। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ভুটানের পারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটির।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগ ও থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদানের পাশাপাশি ভুটানের ঐতিহ্যবাহী স্কার্ফ ও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হবে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয়া হবে। প্রাসাদের মূল ফটকে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়া হবে। প্রাসাদে ভুটানের রাজা ওয়াংচুক ও রানি জেটসান পেমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে।
এরপর ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
চুক্তিগুলো হলো দ্বৈত কর পরিহার, অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, যোগাযোগ ও বাণিজ্য, পণ্য ও কৃষিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ।
বুধবার সকাল ৯টায় রয়েল বাংকোয়েট হলে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক সেমিনারে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় ভুটানের রাজার উপস্থিতিতে থিম্পুর হিজোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চ্যান্সেরি ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা। দুপুরে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের সম্মানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভোজে অংশ নেবেন।
থিম্পু সফরকালে শেখ হাসিনা ভুটানের রাজকীয় প্রথা অনুযায়ী নির্ধারিত আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। এ ছাড়া তিনি ভুটানের রাজা ও রানীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২০ এপ্রিল দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
Share this content: