এবিএনএ : সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন করতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বরকে কেন্দ্র করে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। স্কুল খুললে তার উপর পরীক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। স্কুল খোলা সম্ভব না হলে পরীক্ষায় অটোপাস ছাড়া উপায় থাকবে না।
রোববার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন এমন কথা বলেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে অক্টোবর ও নভেম্বরে স্কুল খোলা যেতে পারে সেই প্রস্তুতি নিয়ে দু’টি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি ও তা চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে মাসে স্কুল খোলা যাবে সেই সিলেবাস পড়িয়ে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা না গেলে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না, অটোপাস ছাড়া উপায় থাকবে না। তবে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা ঝড়ে পড়া রোধ করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। বয়স্কদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি করা হবে। করোনার মধ্যে অনেক কিন্টারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে সেসব স্কুলের আশেপাশে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে সেসব স্কুলে ভর্তি করাতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যে যেখানে ভর্তি হতে চাইবে তাকে সেখানে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে।