
এবিএনএ : বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বিতর্কিত’ চুক্তি না করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
৪৬তম মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. মোশাররফ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি না হলে সফর ব্যর্থ হবে। কারণ মানুষ এই মুহূর্তে প্রতিরক্ষা চুক্তি চায় না। মানুষের প্রয়োজন পানি। কিন্তু ভারত সরকার ন্যায্য পানি দিচ্ছে না। তিস্তা চুক্তি করার কথা থাকলেও এই চুক্তি নিয়ে ভারত সরকার গড়িমসি করছে। তাই তিস্তা পানি চুক্তি ছাড়া দেশবিরোধী কোনো চুক্তি হলে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ রুখে দাড়াবে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হচ্ছে পানি চুক্তি। এ পানি চুক্তির চেয়ে আর কোনো বড় চুক্তি হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি এ পানি চুক্তি যদি প্রধানমন্ত্রী না করতে পারেন তাহলে এই সফর ব্যর্থ হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বা দেশবিরোধী কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করা হলে দেশের জনগণ মানবে না, তারা শেষ রক্ত দিয়ে হলেও এটাকে রুখে দেবেন।’
আইপিইউ সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাদের আহ্বানে নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের এসেছেন সেই আহ্বানকারীরাই নির্বাচিত নন। এই আইপিইউ সম্মেলন প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিরক্ষা চুক্তি মানে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ভারতের কাছে ইজারা দেওয়া। এ চুক্তিতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না। সরকার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ভারতের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে। ভারতের সৈন্যরা যেন বাংলাদেশে ঢুকতে পারে গোপনে সেই চুক্তিই করা হচ্ছে।
জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জঙ্গির বিষয়ে খবর নিলে দেখা যাবে সবাই আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগে রাজাকার পাবেন, জঙ্গি পাবেন, গণতন্ত্র বিরোধী পাবেন। কারণ তারা এসবের উৎপাদনের রাজনীতি করে।’
জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হেলেন জেরিন খান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
Share this content: