আকবর হোসেন,ইউ,এস,এ: গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির উদ্যোগে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ মেলার আয় ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এগ হারবার টাউনশীপের ১৩ আইভি স্টোন ড্রাইভ।বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সভাপতি শহীদ খানের সভাপতিত্তে এবং সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সভার প্রারম্ভে সকল সদস্যবৃন্দের সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিনম্র শ্রদ্দা এবং ধন্যবাদ প্রদান করে শহীদ খান বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সকল সদস্যের প্রান উজাড় করে দেয়া ভালবাসায় সিক্ত ছিল এবারের মেলার সাফল্যের মূল চার্বিকাঠি। তিনি বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির স্বপ্নদৃষ্টা বোরহান উদ্দিন এবং অভিজিৎ চৌধুরীকে।তিনি বলেন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদের সংগঠন বর্তমানে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। দেশে দেশে সাধারন মানুষের মুক্তির জন্য যেমনি গনতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। ঠিক তেমনি আটলান্টিক কাউন্টিতে বসবাসরত কয়েক হাজার বাংলাদেশীদের একনায়কতন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির যাত্রা শুরু হয়েছিল।যাত্রার পর থেকে সকল নেতাকর্মীকে সমানভাবে গুরুত্ব প্রদান এবং মূল্যায়নের কারনেই আটলান্টিক কাউন্টি বর্তমানে সাউথজার্সিতে বসবাসরত বাংলাদেশী তথা সাউথ এশিয়ানদের কাছে সবছেয়ে জনপ্রিয় সংগঠনে পরিনত হয়েছে। সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ বলেন এবারের মেলার ব্যপ্তি অতিতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্টের মেইন স্ট্রীমের রাজনীতিবিদ ছাড়াও স্পেনিশ, পাকিস্তানী , ভারত এবং আফগানিস্তানের বিপুল পরিমান জনগনের অংশগ্রহনই প্রমান করে আটলান্টিক কাউন্টি সংগঠনটির জনপ্রিয়তা। তিনি বলেন সভাপতি এবং সেক্রেটারীসহ সকল উপদেষ্ঠামন্ডলীর উদার মনমানসিকতাই সংগঠনকে বর্তমান অবস্থায় নিয়ে আসতে সহায়তা করেছে।

নিলাদ্রী চৌধুরী, জয়ন্ত সিনহা এবং বিপ্লব দাসের মনমামাতানো সংগীত মাতিয়ে রেখেছিল উপস্থিত সকলকে। সভাপতি শহীদ খান সংগঠনের সদস্য মোঃ করিম এবং জসিম উদ্দিনকে নিউইর্য়ক থেকে এসে আনন্দে শামিল হওয়ার জন্য বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান। সংগঠনের দীর্ঘ দিনের কোষাধক্ষ্য আমিরুল ইসলাম টফি বলেন এবারের মেলায় বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন, সিআরডিএ,আটলান্টিক সিটির সিটির কর্মকর্তা এবং সকল সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা অতিতের ছেয়ে অনেক বেশী হওয়ার কারনে অর্থ লক্ষাধিকের ও বেশী আয় হয়েছে। তিনি বলেন সংগঠনের জন্য একটি কমিউনিটি সেন্টার এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। মেলার প্রধান উপদেষ্টা সৈয়দ মোঃ কাউছার বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি মুক্তমনা বাংলাদেশীদের কাছে একটি অতীব জনপ্রিয় সংগঠন। সমমানের অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দর একনায়কতান্ত্রিক মনমানসিকতা এবং কিছু কুচক্রী মহলের গায়ের জোরে সংগঠন পরিচালনার কারনে যখন তাদের সংগঠন জনপ্রিয়তা দিন দিন হারাচ্ছে তখন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সদস্য দিন দিন বৃদ্দি পাচেছ। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউনটির ট্রাষ্টিবোর্ড প্রধান কাঞ্চন বল জানান মেলা আয়োজনের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সকলের আন্তরিকতাই মেলার সফলতা এনে দিয়েছে।প্রধান সমন্নয়কারী বিপ্লব দেব বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টিতে ওয়ান ম্যান শো বলতে কিছুই নেই । প্রত্যেক সদস্যদেরকে সমানভাবে মূল্যায়নের কারনে মেলার সফলতার জন্য সকল নেতাকর্মী তাদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে ।প্রধান পৃষ্ঠপোষক আহসান হাবিব বলেন যেকোন সংগঠনের ভূলত্রুটি পর্যালোচনার করার মাধ্যমে সংগঠনকে পরিচালিত করলে সেই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রান চাঞ্চল্য ফিরে আসে। তিনি বলেন সভাপতি শহীদ খান এবং সাধারন সম্পাদক সোহেল আহমেদ দলের সবার মতামতের ভিত্তিতে কাজ করার কারনে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি সবছেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন।মেলার সদস্য সচিব ফরহাদ সিদ্দিকী জানান দীর্ঘ একটি বছর ধরে অপেক্ষায় থাকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটিসহ পার্শ্ববর্তী সিটিতে বসবাসরত প্রায় দশ থেকে বারো হাজার বাংলাদেশী তাদের সেই প্রত্যাশা পূরন করতে পেরে তারা উল্লসিত।

তিনি বলেন সঠিক নেতৃত্বই একটি সংগঠনকে তার মূল লক্ষ্যে নিয়ে যেতে পারে ।বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি হচ্ছে তারই প্রমান। সার্বিক পরিচালনা প্রধান মিরাজ খান জানান সকলের মতামতের ভিত্তিতে বর্তমান কমিটি গঠন করার কারনে সকল নেতাকর্মী তাদের সবটুকু উজাড় করে কাজ করেছে।তিনি বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি সফল পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী একটি সংগঠন। পাকিস্তানী কমিউনিটি থেকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানী বিজনেস এসোসিয়েশন সভাপতি আমির কাশমিরী, পানাহ,আটলান্টিক সিটির কাউন্সিলম্যান আনজুম জিয়া, কমিউনিটি নেতা রিয়াজ রাজপূত এবং বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী নাঈম । তারা বলেন পাকিস্তানী কমিউনিটি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দের সাথে ছিল এবং থাকবে। আগামী বছর পাকিস্তানী কমিউনিটি তাদের পাকিস্তানী মেলা আয়োজনে কাউন্টির নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবেন বলে জানান।মেলার আহবায়ক মোঃ সেলিম সফল মেলা আয়োজনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান। সমাপনী বক্তব্যে শহীদ খান বলেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির নেতৃবৃন্দ কথার ছেয়ে কাজে বেশী বিশ্বাসী। তিনি বলেন আমরা অতীতে প্রতারিত কিন্তু কমিউনিটির জন্য কাজ করতে চায় এধরনের সকলের কাছ থেকে বুদ্ধি পরামর্শ নিয়ে আমাদের সংগঠনকে জনগনের সংগঠনে পরিণত করেছি তিনি আগামী এক বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন মিথ্যা আশা দিয়ে জনগনকে ধোঁকা দেয়া ঠিক নয় তাই তারা বাস্তবমূখী পরিকল্পনা গ্রহন করতে চান। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সর্বপ্রথম কাজ হল একটি কমিউনিটি সেন্টার ক্রয় করা, কমিউনিটি সেন্টারের মাধ্যমে ফুড ব্যাংকসহ বিভিন্ন বেসরকারী এবং সরকারী সুবিদাগুলো বাংলাদেশীদের কাছে পৌছে দেয়, প্রতিবছর দুইবার বাংলাদেশ কনসুলেটের মাধ্যমে কনসুলেট সেবা প্রদান, কাউন্টির সদস্যদের জন্য ৩০০০ থেকে ৫০০০ ডলারের ইমাজেন্সী ফান্ড তৈরী যা কোন সদস্যের অকাল মৃত্যু হলে ব্যয় করা হবে। সদস্যদের পরিবারের জন্য কবরস্থান ক্রয় করাসহ আরও নতুন নতুন পরিকল্পনার মাধ্যমে সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা প্রমান করার কথা জানান। ডিনার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Share this content: