
এবিএনএ: সারাদেশে একযোগে শুরু হওয়া জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এছাড়া প্রশ্নফাঁস নিয়ে যারা গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘এখন আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় না। প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব সৃষ্টি হয়। আর তাই যারা প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টি করবে তাদের কোনোভাবেই রেহাই দেয়া হবে না।’ জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার প্রথম দিনে শনিবার কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা পিএম পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর আগে মন্ত্রী পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে প্রতারণা করেছে। এমনকি প্রশ্ন ফাঁসের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এবার এ ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে।’ দীপু মনি বলেন, ‘এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি, আর ঘটবেও না।’
পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই আমরা কেন্দ্র পরিদর্শন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার সময় পরিদর্শনে গেলে শিক্ষার্থীদের অসুবিধা হয়। তাই এবার পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র পরিদর্শন করা হলো। পরীক্ষায় সন্তানের ভালো ফলাফলের জন্য অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন না করতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। পাবলিক পরীক্ষা চলার সময় কোচিং সেন্টার পরিচালনাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। দীপু মনি বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন সব ধরনের কোচিং বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মিডিয়া সহযোগিতা করছে কোচিংয়ের বিরুদ্ধে। অথচ তাদের ওপর হামলা হয়েছে। এটা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোচিং পরিচালনাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেরানীগঞ্জ সার্কেল কামরুল হাসান সোহেল, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার জাহান ও পি এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিচালক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: