
এবিএনএ : অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, এই প্রবৃদ্ধির সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এ কাজে অর্থনীতিবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃস্পতিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিবি) ভবনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সম্মেলন উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান স্পিকার। তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী। সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন অধ্যাপক রেহমান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত। সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামালউদ্দিন আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত অগ্রসরমান। অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশ শক্ত ভিতের ওপর অবস্থান করছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধারাবাহিকভাবে অর্জিত হচ্ছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ১৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। আর প্রবাসী আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
সম্পদের সুষ্ঠু সমবন্টন নিশ্চিত করতে পারলে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব উল্লেখ করে ড. শিরীন শারমিন বলেন, বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে অর্থশাস্ত্র ও নৈতিকতার মাঝে সমন্বয় সাধন করা প্রয়োজন। এ জন্য নীতিমালা প্রণয়নের সময় অর্থনীতির সঙ্গে নৈতিকতাকে যুক্ত করতে হবে। তবেই দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠন সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফলতা অর্জন করেছে। এর ধারাবাহিকতায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০ অর্জনেও সক্ষম হবে। ‘ তিনি বৈষম্য ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি স্বর্ণপদক সম্মাননা ২০১৭’ প্রদান করেন স্পিকার। স্পিকারের কাছ থেকে এই পদক গ্রহণ করেন ড. মাহবুব হোসেন (মরণোত্তর), অধ্যাপক রেহমান সোবহান ও অধ্যাপক ড. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী।
Share this content: