
এবিএনএ: জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালিকে অসাধারণ ব্যক্তি উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, প্রচুর অর্থ উপার্জন করতেই প্রাইভেট সেক্টরে যাচ্ছেন নিকি, যেখানে তিনি এখন কাজ করতে ইচ্ছুক। আর এরজন্যই তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূত থেকে সরছেন।বুধবার (১০ অক্টোবর ২০১৮) হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ কথা বলেন বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়।এর আগে মঙ্গলবার (০৯ অক্টোবর ২০১৮) ৪৬ বছর বয়সী নিকি হ্যালি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেন। যা ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রহণও করেছেন। তবে এ বছরের শেষ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে থাকতে পারেন। যদিও এ সময়ের ভেতরে তার স্থলাভিষিক্ত মনোনীত করতে হবে। যা সিনেটের মাধ্যমে আবার নিশ্চিতও করতে হবে।নিকির বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বছরের শেষ পর্যন্ত থেকে নিকি চলে যাচ্ছেন। তিনি আমাদের বন্ধু ছিলেন। তিনি মহান। নিকি চলে যাওয়ার আগে আমি তার সঙ্গে কিছু সময় কাটাতে চাই। এছাড়া আমি আশা করি তিনি ভালো কিছু করবেন। আর তিনি প্রচুর টাকা কামাতেই এখান থেকে চলে যাচ্ছেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি মনে করি নিকি আবার ফিরে আসবেন। কেননা, তিনি একজন অসাধারণ ব্যক্তি, খুব ভালো মানুষ।নিকির স্থলাভিষিক্তর ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, নিকির স্থলাভিষিক্ত নিয়ে চার-পাঁচজন ভিন্ন এবং পৃথক ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছি। এদের মধ্যে দীনা পাওয়েল (৪৫) একজন। যিনি আমার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন।তবে ট্রাম্প নিকির পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে কিছুই স্পষ্ট করলেন না। এক প্রশ্নের জবাবে শুধু বললেন, এটা নিয়ে আর এতো ভাবতে চাই না।আকস্মিকভাবে নিকির পদত্যাগের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে এ বিষয়ে নিকি বলেছেন, আমি জনসাধারণের মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জীবনযাপন করেছি। তাই এখন বিরতি নিচ্ছি।২০১৭ সালের জানুয়ারিতে নিকি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে জাতিসংঘে যোগ দিয়েছিলেন। আর মাত্র এই এক বছরের মধ্যে তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি হয়ে উঠেন। এ থেকে অনেকেই তখন ধারণাও করেছিল, হোয়াইট হাউসের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতেই তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন।এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার ‘প্রেমের সম্পর্ক’ রয়েছে বলেও অনেক সমালোচনায় পড়েছিলেন নিকি। এ নিয়ে অনেক তোলপাড়ও হয়েছিল বিশ্ব গণমাধ্যমে।
Share this content: