অর্থ বাণিজ্য

‘পোশাক খাতে নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন’

এবিএনএ : দেশের পোশাক খাত বিদেশি গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় ভুল তথ্য দেয়। যার ফলে ক্ষতিতে পড়ে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। তাই পোশাক খাতে নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রয়োজন।

সোমবার এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রির (সিইবিএআই) পরিচালক রেজাউল হাসনাত ডেভিড এই কথা বলেন।  দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি এবং বিইসিএআই’র ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক সংগঠন বিজেএমইএ এবং সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেলস ইন্ডাস্ট্রি (সিইবিএআই) যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে রেজাউল হাসনাত ডেভিড।

ডেভিড বলেন,  ‘দেশের তৈরি পোশাক খাতের কারখানার বা অন্যান্য প্রধান প্রধান সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ নিজেরাই জানে না। এমনকি কোন কোন বিষয় ঘাটতি আছে সেটি কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন না। এ কারণেই তৈরি পোশাক খাতে নিজস্ব গবেষক এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান জরুরি।’

রেজাউল হাসনাত বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের গবেষণা, উন্নয়ন এবং  বিদেশি গবেষক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল। এ খাতের নির্দেশনা অনেক সময় দেশীয় উদ্যোক্তাদের ভুল পথেও নিয়ে যাচ্ছে।’

রাবাব গ্রুপের চেয়ারম্যান লুৎফে এম আইয়ুব বলেন, ‘গত কয়েক বছরের প্রবৃদ্ধি বিশ্লেষণ করলে মনে হয় ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। তবে বাস্তবতা অনেক দূরে, যা সত্যি হতাশাজনক।  কারণ, অবকাঠামো, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক, কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে ইমেজ সংকট এখনও রয়েছে। এসব উত্তোরণে অংশীদারদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠনের বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘পোশাক খাতে বাংলাদেশ অনেক ভালো কাজ করছে। কিন্তু কোনো ব্রান্ডিং হচ্ছে না। ব্রান্ডিংয়ের পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি, ন্যায্যমূল্যে জমি, অবিচ্ছিন্ন জ্বালানি ও বিদ্যুৎবন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো এবং স্থিতিশীল রাজনীতি অত্যন্ত জরুরি।’

সিইএবিআই পরিচালক এবং বিজিএমইএ-র সাবেক সহসভাপতি শাহিদুল্লাহ আজিম বলেন, ‘শুধু  শ্রমিকদেরকে নয়, উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে তৈরি পোশাক খাতের সব পর্যায়ের জনশক্তিকেই প্রশিক্ষিত করতে হবে। পাশাপাশি আমাদের ফ্যাশন আমাদেরকেই সৃষ্টি করতে হবে।’

সভায় অন্য বক্তারা বলেন, শ্রমের দেশ হিসেবে পোশাক তৈরি করে নয়, পোশাকের খাতের ‘পূর্ণাঙ্গ সমাধানদাতা’ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করতে হবে। পাশাপাশি দক্ষতা বাড়ানো, অবকাঠামো নির্মাণসহ পোশাক খাতের বিদ্যমান বাধা দূর করার প্রতিও নজর দিতে হবে। তবেই ২০২১ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক খাতে ৫০ বিলিয়ন রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button