এ বি এন এ : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই দলের সম্ভাব্য দুই প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে পাল্টাপাল্টি আক্রমন বেড়েছে দ্বিগুণ। উভয়ের অতীত নিয়ে শুরু হয়েছে ঘাঁটঘাঁটি। একে অপরকে ঘায়েলে নতুন করে কলঙ্কের বিস্ফোরণে মেতেছেন তারা।
ট্রাম্প বেছে নিয়েছেন হিলারির স্বামী ক্লিনটনের বিরুদ্ধে নারী লাঞ্ছনার ঘটনা। সোমবার এক ভিডিও বিজ্ঞাপনে ছবিসহ লাঞ্ছনার অভিযোগকারী দুই নারীকে সামনে এনেছেন ট্রাম্প। অবশ্য এই অভিযোগের বিষয়ে আগেও কথা বলেছেন তিনি।
অন্যদিকে হিলারি বেছে নিয়েছেন ট্রাম্পের জুয়ার (ক্যাসিনো) ব্যবসার প্রসঙ্গ। হিলারির জিজ্ঞাসা, ‘জুয়ার ব্যবসাতে কীভাবে লোকসান হয়?’ জুয়ার ব্যবসাতে যদি দেউলিয়া হন, তবে ট্রাম্প দেশের অর্থনীতি বাঁচাবেন কীভাবে। দেশকেও তিনি দেউলিয়া বানিয়ে ছাড়াবেন।
হিলারিকে ঘায়েলে ট্রাম্প তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করছেন ক্যাথলিন উইলি এবং হুয়ানিতা ব্রড্রিক নামের দুই নারীকে। এরা সেই দুই নারী, যারা ক্লিনটনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। ক্লিনটন এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে কোনো মামলাও হয়নি। হিলারিবিরোধী ভিডিওতে আরো জুড়ে দেওয়া হয়েছে সিগার মুখে ক্লিনটনের একটি ছবি, যেখানে পাশে দাঁড়িয়ে হিলারি হাসছেন। ট্রাম্পের প্রশ্ন- ‘হিলারি মার্কিন নারীদের রক্ষায় কী এমন করছেন?
নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে হিলারি এবং রিপাবলিকান পার্টি থেকে ট্রাম্প প্রার্থী হচ্ছেন- এটি মোটামুটি নিশ্চিত। বাছাই প্রক্রিয়ায় ট্রাম্পের সব প্রতিদ্বন্দ্বী বসে গেছেন। অন্যদিকে হিলারির বিরুদ্ধে এখনো মাঠে আছেন বার্নি স্যান্ডার্স। তবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রতিনিধির সমর্থন পেয়ে গেছেন হিলারি। এতে কিছুটা সমস্যাও আছে। স্বাধীন প্রতিনিধিদের সমর্থন এবং প্রতিশ্রুত প্রতিনিধিদের সমর্থন মিলিয়ে হিলারি প্রার্থিতার জন্য প্রয়োজনীয় প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন। অসুবিধা হলো, স্বাধীন প্রতিনিধিরা জাতীয় কনভেশনের দিনেও তাদের মত পাল্টাতে পারেন। তবে এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।