আন্তর্জাতিক

ব্রেক্সিট বিল: ইইউ ত্যাগে অনুচ্ছেদ ৫০ এ দৃষ্টি থেরেসা মে’র

এবিএনএ : ব্রিটেন খুব শীগ্রই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করবে, যদি সোমবার দেশটির আইনসভা এই ব্যাপারে পূর্ণ অনুমোদন দেয়।
এছাড়া ইইউ থেকে বের হওয়া নিয়ে ব্রেক্সিট বিলের উপর ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ ও নিন্মকক্ষের মধ্যে সোমবার বিকেলে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। বিলটি উভয় কক্ষেই পাশ হলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রেক্সিট বিষয়ক লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন। যার মাধ্যমে ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর পারস্পরিক ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ন্ত্রিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিলটি কার্যকর হলে তা যুক্তরাজ্যকে ২ বছরের সময় দেবে, আর এর মধ্যেই দেশটিকে ইউরোপের অপর ২৭ টি দেশের সঙ্গে পূর্বে করা সকল চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে ব্রিটেনের সঙ্গে অন্য দেশগুলোর করা বিভিন্ন বিষয় সংক্রান্ত চুক্তি এতো অল্প সময়ের মধ্যে গুটিয়ে আনা সম্ভব নাও হতে পারে বলে অনেকের বিশ্বাস। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই আলোচনা খুবই কঠিন হবে।
ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এমপিদের উৎসাহিত করেছেন, ব্রেক্সিট বিষয়ক বিলকে অপরিবর্তিত রাখার পক্ষে ভোট দিতে, যদিও হাউজ অব লর্ডস এ বিলে দুটি সংশোধনী এনেছে।
সরকারের এক সূত্র ও ব্রেক্সিট সমর্থকরা বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন এ সপ্তাহে অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করার সম্ভাবনা অর্ধেক। ওদিকে ১৫ই মার্চ নেদারল্যান্ডসে নির্বাচন। স্কটল্যান্ডের ন্যাশনালিস্ট পার্টির বসন্তকালীন সম্মেলন সামনেই। এসব কারণে কিছুটা বিলম্বিতও হতে পারে থেরেসার ব্রেক্সিট ইস্যু। এবিএনএ :
যদি মঙ্গলবার নির্বাচনের আগের দিন অনুচ্ছেদ ৫০ সক্রিয় করা হয় তাহলে ধরে নেয়া হতে পারে যে, বৃটেন তাকে সহযোগিতা করছে। এ ছাড়া স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনকে নিয়ে উদ্বেগে আছেন থেরেসা মে। নিকোলা স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলেছেন। তাই এসব কারণে বেশ চাপে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

Share this content:

Related Articles

Back to top button