এবিএনএ: টানা দুদিনের বৃষ্টিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তা বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এদিকে পানির চাপ কমাতে ইতোমধ্যেই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেইট খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.০০ মিটার (স্বাভাবিক ৫২.১৫ মিটার)। যা বিপৎসীমার ১৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।
নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলগুলোর ঘরবাড়ি ও ফসলি জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। এ ফলে এ এলাকার মানুষজন আবারও বন্যা ও নদীভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা যায়। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮ থেকে ১০টি চর ও পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলার ১০ থেকে ১৫টি চর এলাকায় পানি উঠতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘গত দুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকার রাস্তাঘাটে পানি উঠায় চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট ইতোমধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে।’ টানা দুদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণেই তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে বলে জানান তিনি।