
এবিএনএ: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে তা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর অক্টোবরের মাঝামাঝি অথবা শেষ দিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। রবিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কাদের। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান দশম সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়েছিল ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সে হিসাবে বর্তমান সরকারের মেয়াদ ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হবে। আর ভোটের ৯০ দিনের ক্ষণগণনা শুরু হবে ৩০ অক্টোবর থেকে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভোটের সময় ধরে সব ধরনের প্রস্তুতি এগিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন ভবনে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ইসি সচিব বলেছিলেন, ‘৩০ অক্টোবরের পর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে। ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো সময় নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হতে পারে। নির্বাচন কমিশনই এ নিয়ে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নেবে।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর আর কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকবে না। তখন নির্বাচনী উৎসব বইবে এবং সবাই নির্বাচনে আসার জন্য তোড়জোড় শুরু করবে।’ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে বিএনপি যে দাবি জানিয়ে আসছে সে বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যে দাবি করছে সেটা করতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। শিডিউল ঘোষণার আর এক মাস বাকি আছে। এই সময়ে তো সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন নেই। তাদের প্রয়োজন অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এখানে সরকারে কে থাকলো, এটা তাদের দেখার দরকার নেই। কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকারের কোনো কাজ থাকবে না। তারা শুধু রুটিনমাফিক কাজ করবে। নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। সেখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তখন সরকারের ক্ষমতা সীমিত হয়ে যাবে। বিএনপির দরকার হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষই আছে।
Share this content: