এবিএনএ : আজ বৃহস্পতিবার ছোটদের মন্ত্রিসভা গঠনে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন’ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ৮ জন প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক বছরের জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট গঠিত হবে। এ বছর এক লাখ ৮৩ হাজার ২৭২টি পদের জন্য ২ লাখ ৭১ হাজার ২৯৯ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মোট ভোটার ১ কোটি ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৫১ জন। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে ‘স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট নির্বাচন-২০১৭’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, কৈশোর থেকে গণতন্ত্রের চর্চা, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা এবং শ্রদ্ধা, শিক্ষকদের সহায়তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছাড়াও ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাই হচ্ছে এ নির্বাচনের উদ্দেশ্য। তিনি জানান, গত ১৮ মার্চ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করে। এ বছর ৪৮৭টি উপজেলা ও নয়টি মহানগরে ২২ হাজার ৯০৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ নির্বাচন হবে। এরমধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৬ হাজার ৫০৭টি, দাখিল মাদ্রাসা ছয় হাজার ৪০২টি।
তথ্য অনুযায়ী, বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। ভোটার তালিকাভুক্ত যে কোনো শিক্ষার্থী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবে। প্রত্যেক ভোটার প্রত্যেক শ্রেণিতে একটি, সর্বোচ্চ তিন শ্রেণিতে ২টি করে মোট ৮টি ভোট দিতে পারবে। প্রত্যেক শ্রেণি থেকে একজন করে পাঁচ শ্রেণি (ষষ্ঠ থেকে দশম) থেকে ৫ জন ও পরবর্তী সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত তিন শ্রেণির ৩ জন এই মোট ৮ জন নিয়ে ‘স্টুডেন্টস ক্যাবিনেট’ গঠিত হবে। সিটি করপোরেশন এবং জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের কারণে কুমিল্লা সদর ও সদর দক্ষিণ উপজেলা এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা ও দিরাই উপজেলায় আগামী ৮ এপ্রিল স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হবে ।
নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এবং শৃঙ্খলার দায়িত্ব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরাই পালন করবে। ক্যাবিনেট প্রতিমাসে কমপক্ষে একটি সভা করবে। শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ, বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেবেন। প্রতি ছয় মাস অন্তর সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে ক্যাবিনেটের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজস্ব আইনে চলে এ কারণে নির্বাচন করার পক্ষে আমরা তাদের (বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে) পরামর্শ দেই, উদ্যোগ নিতে বলি। কিন্তু আমরা নির্দেশ দিতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এমন তথ্য জানান। তিনি বলেন, আমাদের কাজ শতভাগ অর্থ দেওয়া কিন্তু ক্ষমতা আমাদের শূন্যভাগ। আমরা ক্ষমতা খাটাতে পারি না, তা করতে যাওয়া উচিতও নয়। আশা করি, তারা আমাদের স্কুলের নির্বাচন দেখে উত্সাহিত হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।