আইন ও আদালতবাংলাদেশলিড নিউজ

মা-ছেলে খুন, গৃহকর্তার তৃতীয় স্ত্রী পুলিশ হেফাজতে

এবিএনএ : রাজধানীর কাকরাইলে বাসায় ঢুকে মা ও ছেলেকে খুনের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গৃহকর্তা আব্দুল করিমের তৃতীয় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের এডিসি নাবিদ কামাল। এর আগে বুধবার রাতে নয়া পল্টনের একটি বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল করিমের এ স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নাবিদ কামাল বলেন, তাকে আটক কিংবা গ্রেফতার নয়; জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যা ঘটনার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ করছি। মা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গৃহকর্তা আবদুল করিম কয়েক মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এরপর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে অন্য বাসায় থাকেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, কয়েক দিন আগে আবদুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার ভাই ওই বাসায় গিয়ে প্রথম স্ত্রীকে হুমকি-ধামকি ও মারধর করেন। এর কয়েক দিনের মাথায় এ ঘটনা ঘটল।
পুলিশের ধারণা, ভাড়াটিয়া খুনি দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যা মিশনে একাধিক ব্যক্তি অংশ নেয় বলেও ধারণা পুলিশের।
পুলিশ জানায়, ওই বাড়ির দারোয়ান থানায় খবর দিলে ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। রমনা থানার এসআই আতাউর রহমান জানান, বাড়িটির বেডরুমে মায়ের গলাকাটা এবং ভবনের ৪র্থ তলার সিঁড়িতে সন্তানের লাশ পড়েছিল। ঘটনার সময় বাসায় আর কেউ ছিল না।
বাসার দারোয়ান জানান, সিঁড়ি দিয়ে এক ব্যক্তি নিচে নামার সময় তাকে বলেছেন, গিয়ে দেখেন ৫ তলায় কোনো ঝামেলা হচ্ছে। তিনি ৫ তলায় গিয়ে দেখেন ফ্ল্যাটের ভেতরে ও সিঁড়িতে দু’জনের লাশ পড়ে আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার কৃষ্ণপদ বলেন, নিহত দু’জনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শাওনের মাথার কাছে একটি ছুরি পড়েছিল বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যায় কাকরাইলের তমা সেন্টারের গলির কাছে ৭৯/১ বাড়ির পাঁচতলা থেকে মা শামসুন্নাহার ও তার ছেলে শাওনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর পর বাড়ির মালিক মুদি দোকানের ব্যবসায়ী করিমসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button