ঘুমের প্রভাবে কমবে ওজন!

এবিএনএ : অনেকে বহু চেষ্টার পরও ওজন কমাতে পারছেন না। ওজন কমানোর জন্য নানা রকম হারবাল ওষুধ আর এটা-ওটা ব্যবহার করে ফলাফল পাওয়া তো দূরে থাক উল্টো আরও হিতে বিপরীত হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমের পরিমাণ আপনার হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। যখন পরিমাণ ঘুমের ধরণ নিয়মানুসার হয় না, আপনার হরমোনাল কার্যক্ষমতা তখন প্রভাবিত হয়। ভারসাম্যহীনতার জন্য আপনার শরীরে বিপাক প্রণালীকে এবং আপনার ক্ষুধাকেও প্রভাবিত করে।
ঘুমের অভাবে শরীরের স্বাভাবিক গ্লুকোস পাচন অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এবং সেই অতিরিক্ত গ্লুকোস তখন মেদে রুপান্তরিত হয়ে জমতে থাকে। এ ছাড়া করটিসল নামক স্ট্রেস জনিত হরমোনের উৎপত্তিও বেড়ে যায়, যা আপনার ক্ষধার সঞ্চার করে।
আপনি যখন অতিমাত্রায় পরিশ্রান্ত বা মানসিক চাপে থাকেন অকারণ অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার মাত্রাও তখন বেড়ে যায়। ঘুম ও খাওয়া-দুটোই যখন স্বাভাবিক থাকে তখন শরীরে কর্মক্ষমতাও অনেক বেশী থাকে। তাহলেই বোঝা যায় ঘুমের সঙ্গে শরীরের ওজনের সম্পর্ক আছে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ অনেক সময় বংশগত প্রাপ্তি। তবে পরিবেশজনিত ও জীবনধারার সঙ্গেও এর সম্পর্ক রয়েছে। তার সত্ত্বেও ঘুম এমন এক জিনিস যা শরীরের ওজন কম বা বেশী করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তাই অবহেলা না করে আসুন জেনে নিই ঘুম কীভাবে আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে?
রাতে ঘুম
রাতে সঠিক ঘুম হলে আপনি নিশ্চয়ই খুচরা স্ন্যাকস খাবেন না। এ পদ্ধতিতে আপনার ক্যালরি গ্রহণের মাত্রা কমে যাবে। কারণ বিষণ্নতা বা অনিদ্রার কারণে মাঝরাতে বেশী খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
ঘুমের নিয়মানুবর্তিতা
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন একই সময় ঘুমানো বা ঘুম থেকে উঠা আপনার ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করবে।
পাচন প্রণালী
যখন আপনার শরীর সুস্হ্য থাকে, তখন আপনার শরীরে ক্যালোরি পোড়ানো বা পাচন ক্ষমতা বেড়ে যায়। এতে ওজন অবশ্যই কমে।
ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ
আপনার ঘুমের সময়সূচি যদি ঠিক থাকে, তাহলে আপনার ক্ষুধাও থাকবে স্বাভাবিক। পার্শ্বক্রিয়া হয় খুব কম খাওয়া বা অত্যাধিক খাওয়া দাওয়ার কারণে।
যদি ঘুমের মেয়াদ নিয়ে ভাবতে হয়, তাহলে গবেষণায় দেখা গেছে ৬ ঘণ্টার কম বা ৮ ঘণ্টার বেশী দুটো সময়ই প্রভাব ফেলে মানুষের ওজনের ওপর। তবে রোজ রাতে নিয়মিত ৮ ঘণ্টার ঘুম খুবই জরুরি।
ঘুমের গুণমান
যদি আপনার ঘুমের গুণমান সঠিক হয়, তাহলে আপনার পক্ষে দেহের ওজন অনায়াসেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
Share this content: