
এবিএনএ : বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ট্রেন ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’এর খুলনা-কলকাতার মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪৪ মিনিটে বন্ধন এক্সপ্রেস ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে খুলনা রেল স্টেশন ত্যাগ করে। যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও ছিলেন।
এর আগে দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি কলকাতা থেকে খুলনা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। এ সময় রেল স্টেশনের বিপুলসংখ্যক কৌতুহলী দর্শনার্থী ছিলেন।
বেলা ১১টার দিকে খুলনা রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসের অপেক্ষায় বিপুলসংখ্যক উৎসুক দর্শনার্থীর ভিড়। দর্শনার্থীদের অপেক্ষার প্রহর শেষ হয় দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে। বাণিজ্যিক যাত্রার প্রথম দিনে মৈত্রী ট্রেনটি ৬৬ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা রেলস্টেশনে প্রবেশ করে। এই ৬৬ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি ও ১৯ জন ভারতীয়সহ ৫৩ জন যাত্রী ছিলেন। বাকি ১৩ জন ছিলেন ট্রেনের স্টাফ।
১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট বন্ধন এক্সপ্রেস খুলনা রেল স্টেশনে অবস্থান করার পর ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই ট্রেনের আসন সংখ্যা ৪৫৬টি। ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা প্রধান অতিথি হিসেবে বন্ধন এক্সপ্রেসের কলকাতা যাত্রার উদ্বোধন করেন।
এ সময় হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, মৈত্রী ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। দুদেশের বাণিজ্যে সম্প্রসারণ ঘটবে। এছাড়া রোগী ও বৃদ্ধদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। সরাসরি ট্রেন চালুর ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটা কমবে।
তিনি বলেন, অসুস্থ ব্যক্তি ও বৃদ্ধদের ভিসা সহজ করা হবে। এ ছাড়া ভিসা সহজীকরণের জন্য অচিরেই খুলনায় উপভারতীয় দূতাবাস খোলা হবে।
বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রী নগরীর খালিশপুরের বাসিন্দা সারজিনা আলম সুজানা বলেন, ‘ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। সত্যিই আজ খুব আনন্দের একটি দিন।’ অপর যাত্রী সমীর মজুমদার বলেন, ‘বন্ধন এক্সপ্রেসের প্রথম দিনের যাত্রী হিসাবে কলকাতায় যেতে পেরে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। এদিনটির কথা আমি কখনো ভুলব না।’
খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মানিকচন্দ্র সরকার বলেন, ট্রেনটি ২৫৩ জন যাত্রী নিয়ে খুলনা রেল স্টেশন ছেড়ে গেছে। স্টেশনে যাত্রীদের কোনো ধরনের হয়রানি বা ঝামেলা পোহাতে হয়নি।
তিনি জানান, গত ৯ নভেম্বর খুলনা-কলকাতা রুটে বন্ধন এক্সপ্রেসের যাত্রার উদ্বোধন করা হয়। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার ট্রেনটি খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (পাকশি) অসিম কুমার তালুকদার বলেন, বন্ধন এক্সপ্রেসে ১০টি কোচ রয়েছে। এর মধ্যে ইঞ্জিন ও পাওয়ারকার ২টি। বাকি ৮টি কোচে ৪৫৬টি আসনে যাত্রীর ব্যবস্থা রয়েছে। আসনগুলো সবই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে কেবিন ১৪৪টি এবং চেয়ার ৩১২টি। এ রুটের দৈর্ঘ্য ১৭৫ কিলোমিটার। ভাড়া নির্ধারণ রয়েছে কেবিন ২ হাজার টাকা। আর চেয়ার ১৫শ’টাকা।
Share this content: