,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

‘ক্ষমতা ভোগের বিষয় নয়, জাতির প্রতি দায়িত্ব পালনের’

এ বি এন এ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি অর্থ অপচয় না করে জনগণের কল্যাণে ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

দেশের শাসনকার্য পরিচলনা করা গুরু দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা কোনো ভোগের বস্তু নয়, জাতির প্রতি কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনের।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রকল্প প্রণয়ন শুধু অর্থ ব্যয়ের চিন্তা থেকেই যেন না হয়। সেখান থেকে কতটুকু দেশের উন্নতি হবে আর এর সুফল মানুষ কতটুকু পাবে সে হিসাবটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেই সঙ্গে আমাদের এই কষ্টার্জিত অর্থ- এটার যেন অপব্যবহার না হয়।’

তিনি বলেন, ‘কারো কাছে ক্ষমতা হচ্ছে ভোগের বস্তু আর কারো কাছে ক্ষমতা হচ্ছে কর্তব্য পালন করা। আমাদের চিন্তা হচ্ছে, জাতির প্রতি কর্তব্য পালন। দেশের প্রতি, তার মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করা। মানুষ যে আমাকে একটা ভোট দিল, তার বদলে সে কি পেল- এটাই তখন বিবেচ্য হয়ে দাঁড়ায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মাত্র পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হই। কাজেই এই পাঁচ বছরে জনগণকে কতটা সেবা দিতে পারব, জনগণের কল্যাণে কতটুকু কাজ করতে পারব এবং কতটুকু তাদের জন্য করে দিয়ে যাব, এটাই আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য।

তিনি বলেন, ‘কিছু স্বল্পমেয়াদি, কিছু মধ্যমেয়াদি, কিছু দীর্ঘমেয়াদি এভাবে আমাদের পরিকল্পনা নিতে হবে। তার ভিত্তিতে যে জনগণের জীবনমান উন্নত করতে হলে কী কী পদক্ষেপ আমাদের নিতে হবে। এবং জনগণের চাহিদাগুলো কী, কীভাবে তা পূরণ করব, সেটাই হচ্ছে সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের প্রস্তুত থাকা।’

বাংলাদেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করলে এ অর্জন কঠিন কাজ নয়। সেটা ইতোমধ্যেই প্রমাণ করেছি।

বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে জড়িতদের ‘আরেকটু কষ্ট করতে হবে, খাটতে হবে ও শ্রম দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় গত অর্থবছরে সাত ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি কাজে আরো ‘গতিশীলতা’ আনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেই সক্ষমতা আমরা আর্জন করেছি। এতে আমাদের নিজেদেরও একটা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ অর্থটা আমাদের, এটা যেন অপচয় না হয়।’

তিনি বলেন, ‘একসময় প্রচলিত ছিল সরকারি মাল দরিয়া মে ঢাল। এই চিন্তা থেকে দেশের মানুষকে সরিয়ে আনতে হবে। দেশের মানুষকেও ভাবতে হবে যে, সরকারের মাল হচ্ছে জনগণের। এটা জনগণেরই সম্পদ, জনগণেরই কল্যাণে কাজ হবে, ব্যয় হবে। এটা দরিয়াতে ঢালার জন্য না।’

বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চুক্তি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এ ছাড়া সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

প্রসঙ্গত, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে প্রথমবারের মত এপিএ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন দপ্তর ও সংস্থাগুলোর সঙ্গেও এই চুক্তি হয়।

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited