কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ

এবিএনএ : কিউবায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, গত এক দশকে কিউবায় এটি সবচেয়ে বড় আকারের বিক্ষোভ। রাজধানী হাভানাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা ‘একনায়কতন্ত্রের পতন চাই’ বলে স্লোগান দিচ্ছেন। রবিবার বিক্ষোভ দমনে পুলিশ পেপার স্প্রে করেছে ও অনেককে পিটিয়েছে।
অনেকগুলো কারণে বিক্ষোভকারীরা বিক্ষোভে নেমেছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার ঠিকমতো করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে পারছে না। এছাড়া দেশটির অর্থনীতি ধস, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণসহ নানা কারণে তারা বিক্ষোভে নেমেছেন বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, টিকাদান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করতে হবে। গত বছর কিউবার রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতি ১১ শতাংশ সংকুচিত হয়। তিন দশকে এটিই সবচেয়ে বাজে অবস্থা। করোনাভাইরাস ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট টেলিভিশনে সবাইকে বিপ্লব রক্ষা করতে আহ্বান জানান। এরপর হাজারো সরকার সমর্থক রাস্তায় নামেন। ১৯৫৯ সালে দেশটি বিপ্লব হয়েছিল। যার পর থেকে দেশটিতে কমিউনিস্ট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ-কানেল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়া করা গুণ্ডাদের উস্কানিতে এই বিক্ষোভ হচ্ছে। তারা এই দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। বিক্ষোভ দমনে যা যা করা দরকার তাই করা হবে। ল্যাটিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক জুলি চাং টুইটারে লিখেছেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করার অধিকারের ব্যাপারে কিউবার মানুষের পাশে আমরা আছি। আমরা সেখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতাকে নিন্দা জানাই।’ এই বিক্ষোভ শুরু হয় সান অ্যান্তোনিও ডি লস বানোস শহরে। এরপর দ্রুতই তা কিউবাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
বিবিসিকে একজন বিক্ষোভকারী বলেছেন, ‘আমরা আর নিতে পারছি না। কোনো খাদ্য নেই, ওষুধ নেই, স্বাধীনতা নেই। তারা আমাদের বাঁচতে দেবে না। এসব নিয়ে আমরা ক্লান্ত।’
Share this content: