
উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে আলোচনার জন্য চীনে পৌঁছেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এ ইস্যুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, রাষ্ট্রীয় পরামর্শক ইয়াং জিয়েচির সঙ্গে বৈঠক করবেন টিলারসন। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঠেকানোর বিষয়ে কথা বললেন তারা।
পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের যুদ্ধ এড়ানোর জন্য চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়া খুবই দ্রুত গতিতে তাদের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির লক্ষ্য পূরণ করছে এবং দেশটি দাবি করছে, এসব অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত করতে সক্ষম।
এদিকে, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছাতে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত মস্কো। রুশ কূটনীতিক ওলেগ বারমিস্ট্রভ এবং উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নর্থ আমেরিকা বিভাগের মহাপরিচালক চোয়ে সান-হুইয়ের মধ্যে বৈঠক শেষে এ বিবৃতি দেয় রাশিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগর মরগুলোভের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন সান-হুইয়ে। রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে ওই অঞ্চলের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করার স্বার্থে সব প্রচেষ্টার মধ্যে সমন্বয় সাধনে প্রস্তুত রাশিয়া।
অন্যদিকে, চীন বলেছে, উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের প্রস্তাব কঠোর ও পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়ন করবে তারা। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীনে উত্তর কোরিয়ার সব প্রতিষ্ঠান ও যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেবে তারা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও চীন সরকারের উপদেষ্টা এইনার তানজেন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কার্যক্রম বন্ধে এর চেয়ে বেশি কিছু করার নেই চীনের। একদিকে উত্তর কোরিয়া চাইছে, পরমাণু অস্ত্রের উন্নয়নের মধ্যে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে। অপর দিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ কাজ অগ্রহণযোগ্য।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং যুক্তরাষ্ট্রে হামলার হুমকি বিশ্বরাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। উত্তর কোরিয়ার একমাত্র মিত্র হিসেবে পরিচিত চীন। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, চীন চাইলে উত্তর কোরিয়াকে তাদের উসকানিমূলক পরমাণু কার্যক্রম থেকে থামাতে পারে।
Share this content: