এ বি এন এ : ঈদে বাড়ি ফিরতে দূরপাল্লার বাসের আগাম টিকিটের জন্য সকাল থেকে দীর্ঘ লাইন যাত্রীদের। কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়েও মুখে হাসি নেই যাত্রীদের। বরং ক্ষোভ আর হতাশার ছাপ স্পষ্ট।
কারণ কী?- এই প্রশ্নের জবাবে যাত্রীরা জানালো, সব রুটেই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। এই ঠকবাজি ঠেকাতে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকাও তাদের হতাশার আরেক কারণ।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাড়ি যেতে থেকে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে আজ। ভোর থেকেই টিকিট প্রত্যাশীরা গাবতলী, কল্যাণপুর ও শ্যামলীর বিভিন্ন টিকিট কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ায়। সকাল ছয়টা থেকে টিকিট বিক্রি শরু হলেও বেলা ১১টার পরও কাউন্টারগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়।
যাত্রীদের অভিযোগ, টিকিটের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। তাছাড়া নির্ধারিত দিনের টিকিট পাবেন কি না সে বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ভোরে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কখন টিকিট পাবো বলতে পারছি না। নির্ধারিত দিনের টিকিট পাব কি না সে নিয়েও শঙ্কায় আছি।
দিনাজপুরগামী যাত্রী মাকসুদ টিকিট পেলেও নাখোশ কণ্ঠে বলেছেন, ‘ভাড়াবেশি রাখা হয়েছে।’ তিনি জানান, ঢাকা থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পর্যন্ত টিকিটের দাম ৫০০ টাকা হলেও নেয়া হচ্ছে ৬৩০ টাকা। আর পঞ্চগড়ের টিকিটের দাম ৬০০ টাকার বদলে নেয়া হচ্ছে ৮৫০ টাকা।
ঠাকুরগাঁও যাবেন আসাদ। তার অভিযোগ, এক হাজার ১০০ টাকার টিকিট তাকে কিনতে হয়েছে দুই হাজার টাকায়।
তবে পরিবহণ কোম্পানির কর্মকর্তারা বরাবরের মতই অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন। তাদের দাবি, সারা বছর নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম নেয়া হয়। ঈদে সরকারনির্ধারিত ভাড়াই নেন তারা। এ জন্যই মনে হয় অতিরিক্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘নন এসি বাসের ভাড়া আমরা বিআরটিএর নির্ধারিত ভাড়াই রাখছি।’ তবে এসি বাসে টিকিটের দাম বেশি রাখার কথা স্বীকার করেছেন তিনি। মোশারফ হোসেন বলেন, ‘আমরা তো সেবার বিনিময়ে টাকা নিচ্ছি। তাছাড়া আসার সময় খালি আসতে হয়। সরকারকে ১৫% ভ্যাট দিতে হয়।’
এদিকে ২৯ আগস্ট কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সারা দেশে চলাচলকারী ট্রেনেরও আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সকাল আটটা থেকে আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হবে। একজন যাত্রীকে চারটির বেশি টিকেট দেওয়া হবে না।