
এবিএনএ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে এক কোটি ১৬ লাখ কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে। এসব গবাদিপশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় দুই কোটি ৩১ লাখ ১৩ হাজার গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া জবাই হয়, যার অর্ধেক জবাই হয় কোরবানির ঈদের সময়। গত বছর ঈদের আগে দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল এক কোটি চার লাখ ২২ হাজার। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কোরবানির হাটে ভেটেরিনারি সেবা সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের সভাপতিত্বে সভায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোট হাটে একটি করে, বড় হাটে দু’টি করে ও ঢাকার গাবতলী হাটে চারটি মেডিকেল টিম থাকবে। প্রতিটি টিমে একজন ভেটেরিনারি সার্জন, একজন টেকনিক্যাল কর্মী (ভেটেরিনারি ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বা উপজেলা প্রাণিসম্পদ সহকারী–ইউএলএ) ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন করে ইন্টার্ন ভেটেরিনারি সার্জন থাকবেন। এতে আরও জানানো হয়, গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধের বিক্রি, সরবরাহ, নিয়ন্ত্রণ, সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব দ্রব্য চোরাইপথে প্রবেশ বন্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদারকি ছাড়াও জেলা ও উপজেলা প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি করা, পশুবর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা ও কোরবানির আগে-পরে রাজধানীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। উল্লেখ্য, ১২ অগাস্ট জিলহজ মাসের চাঁদ উঠলে ২২ অগাস্ট বাংলাদেশে ঈদুল আযহা উদযাপিত হবে।
Share this content: