খেলাধুলা

আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান মোস্তাফিজ

এবিএনএ : অভিষেকের পর থেকেই সাফল্যের আলোয় ভাসছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার দেড় বছরের মধ্যেই তিনি বিশ্বতারকা। তারই ধারাবাহিকতায় ‘কাটার মাস্টারে’র মুকুটে যুক্ত হলো অর্জনের আরেকটি রঙিন পালক। ২০১৫-১৬ মৌসুমে আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটার হয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার। বাংলাদেশের হয়েই এই এই প্রথম কোনো ক্রিকেটার আইসিসির একটি বর্ষসেরা পুরস্কার জিতলেন।
২০১৫-১৬ মৌসুমে মোস্তাফিজুর রহমান খেলেছেন মাত্র ৩টি ওয়ানডে। এই তিন ওয়ানডেতে তাঁর উইকেট সংখ্যা ৮। টি-টোয়েন্টিতে তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। ১০টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর উইকেট ১৯টি।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির বার্ষিক পুরস্কার জিতে আনন্দিত মোস্তাফিজ। এই মুহূর্তে জাতীয় দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফররত মোস্তাফিজের কাছে এই পুরস্কার বছরের সেরা উপহার, ‘পুরস্কারটি এ বছরে আমার পাওয়া সেরা উপহার। এটা আমাকে ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
আইসিসির বর্ষসেরা উদীয়মানের পুরস্কার জিতেছেন, এই খবরটি যখন মোস্তাফিজ পেয়েছেন, তার খানিক আগেই ওয়াঙ্গানুইর কোবহাম ওভালে নিউজিল্যান্ড একাদশের সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে ৫০ ওভারের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে উঠেছেন। ম্যাচে বাংলাদেশ দল হেরে গেছে। কিন্তু হারের পর এই আনন্দ সংবাদটা ছুঁয়ে গেল মোস্তাফিজকে, ‘প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে এই পুরস্কার জিতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলাটা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য বিরাট স্বপ্ন। এটি আমার জন্যও স্বপ্ন পূরণ হওয়ার মতো ব্যাপার। আমাকে যাঁরা সহায়তা করেছেন, উৎসাহ দিয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এই পুরস্কার আমাকে সামনে আরও ভালো করতে উৎসাহ জোগাবে।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের শেষ ওভারটির কথা কি ভোলা সম্ভব? পুরো বিশ্বকে স্তম্ভিত করে বেন স্টোকসের বলে টানা চারটি ছক্কা মেরেছিলেন কার্লোস ব্রাফেট। ১০ বলে ৩৪ রানের সেই ইনিংসটিই পেয়েছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেরা পারফরম্যান্সের পুরস্কার। তবে বছরজুড়েই অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো রবিচন্দ্রন অশ্বিন বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। টেস্টে ভারতকে অপরাজিত রাখা ও টেস্ট র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে তোলার বড় কৃতিত্ব এ অফ স্পিনারের। শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড়ের পর তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার।
বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। সহযোগী দেশগুলোর সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি পেয়েছেন আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদ। ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। আর তিন বছর পর নতুন কেউ হলেন বর্ষসেরা আম্পায়ার, দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস। টানা তিন বছর এ পুরস্কারটি ছিল ইংলিশ আম্পায়ার রিচার্ড ক্যাটলবরোর অধিকারে।
আইসিসির বর্ষসেরা খেলোয়াড়দের নির্বাচিত করেছে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ একটি কমিটি। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর সাংবাদিকদের ভোটে নির্ধারিত হয়েছে বর্ষসেরার তালিকা। নিরপেক্ষ এই নির্বাচক কমিটিতে ছিলেন প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রও।

Share this content:

Back to top button