বাংলাদেশরাজনীতিলিড নিউজ

আইনি প্রক্রিয়া দেখে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত: রিজভী

এবিএনএ: দলের চেয়ারপারসন কারাবন্দী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া দেখে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। খালেদা জিয়ার জামিন না হলে বিএনপির কী কর্মসূচি হবে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখি না আগামীকাল কী হয়? আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করবো? তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া দেখে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যখন গণতন্ত্রের জায়গা বন্ধ হয়ে যায়, তখন রাজপথেই তার সমাধান করতে হবে। আজ বুধবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আগামীকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করবেন। আগামীকালের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ প্রতিবেদন দিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৭৫ বছর বয়সী দেশনেত্রীর স্বাস্থ্যের অবস্থা এতো ভয়ঙ্কর যে, এই মূহুর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানীর চরম ঝুঁকি রয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার যে ড্যামেজ হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে ৬৬৫ দিন হলো অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আইন-আদালত, ন্যায় বিচার, সংবিধান, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার, বয়স, অসুস্থতাসহ সকল বিবেচনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়া আইনগত অধিকার। দেশ-বিদেশের আইনজ্ঞরা বলছেন, এই মামলায় জামিন না পাওয়া বিস্ময়কর। তিনি নিশ্চিতভাবেই জামিনের হকদার। গোটা বাংলাদেশের মানুষ অব্যহতভাবে দাবি জানাচ্ছে তার জামিনের। অথচ স্বাভাবিক এই জামিন নিয়ে কত রকমের টালবাহানা করা হচ্ছে! সরকারদলীয় লোকেরা প্রকাশ্যে হুমকিও ঘোষণা দিয়ে জামিনে বাধা দেয়া হচ্ছে। দেশনেত্রীকে জেলে রেখে হত্যার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।

রিজভী বলেন, দেশনেত্রীকে নিয়ে সরকারের অশুভ ষড়যন্ত্রের আরেকটি জলজ্যান্ত প্রমাণ হলো গত ২৫দিন ধরে তার সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাৎ করতে দেয়া হচ্ছে না। এটি জেলকোডের চরম লঙ্ঘন। এটির মাধ্যমে বিধি-বিধানকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বিধানকেই চরিতার্থ করা হচ্ছে। গত ১৩ই নভেম্বরের পর থেকে আর সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আমরা বর্তমানে তার শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে চরম আশংকায় দিনাতিপাত করছি।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি- উচ্চ আদালত থেকে দেশনেত্রী ন্যায়বিচার পাবেন। বেগম খালেদা জিয়া দেশের সিনিয়র সিটিজেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুই বারের বিরোধী দলীয় নেতা ও দেশের জনপ্রিয় শীর্ষ রাজনীতিবিদ এবং গুরুতর অসুস্থ, তাই তার জামিন পাওয়া ন্যায়সঙ্গত অধিকার। ইতিপূর্বে এধরণের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, সেটির অসংখ্য নজীরও রয়েছে। সারাজাতি আগামীকাল দেশনেত্রীর জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, ব্যারিস্টার মীর হেলাল, ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. মো. আবদুস সেলিম, ড্যাব ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ডা. মাসুম বিল্লাহ, ডা. গালিব প্রমুখ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button