এ বি এন এ : গ্রামের মহিলা পুরষ একযোগ হয়ে উন্নয়ন কাজের নামে পকেট ভরছে স্থাণীয় নেতাদের এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার দৈহারী, বলদিয়া ও আটঘরকুড়িয়ানা ইউপির সিপিসিদের বিরুদ্ধে। উপজেলার দৈহারী, বলদিয়া, আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নে ৪০দিনের কর্মসূচীর মাত্র ২০দিন বা তারও কম কাজ করিয়ে সবটাকা উঠিয়ে শ্রমীকদের শুধু কাজের টাকা দিয়ে বাকি টাকা আতœস্যাত করছে স্থাণীয় নেতারা এমন অভিযোগ মিলছে অহরহ। বলদিয়ার রাজাবাড়ী ওয়ার্ডের এপ্রকল্পে কাজ করা বেশ কিছু মহিলা শ্রমিক জানায়, প্রথম বিশ দিনের দশ দিন কাজ করায় তারা এবং ব্যাংক থেকে ৩৬৫০ টাকা পাই যা থেকে ব্যাংকের সিড়িতে বসেই মহিলা মেম্বর, জাহিদ আলম, শহিদ মেম্বর, জাহাঙ্গির, আমিনুল(প্যানেল চেয়ারম্যান), ওয়ার্ড মেম্বর জাহারুল আমাদের বই ও টাকা নিয়ে মাত্র ১৭৫০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা রেখে দেয়। দ্বিতিয় বিশ দিনের মাত্র নয় দিন কাজ করিয়ে আমাদের ব্যাংকে আসতে বলে এবং দুপুর হওয়া সত্বেও টাকা না দেওয়ায় আমরা মেম্বর ও আমিনুরের কাছে টাকা চাইলে সাংবাদিক আছে আজ টাকা পাবেনা বলে চলে যেতে বলে। এসময় আমাদের সাখে কথোপকথনের একপর্যায় আমিনুল মেম্বর ও জাহারুল মেম্বর ব্যাংক থেকে চেক এনে আমাদের তিনটা করে সই নিয়ে একত্রে ব্যাংক থেকে ৫নং ওয়ার্ডের সকলার টাকা উঠিয়ে এনে ৫৬৭৫ টাকার জায়গায় ২২৫০ টাকা দিলে আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা চাইলে তাদের সাথে বাকবিতান্ডা হলে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ডুবি বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়। এব্যাপারে, অভিজুক্ত জাহারূল মেম্বর, যুবলীগ নেতা সালাম, প্যানেল চেযারম্যান আমিনুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ব্যাস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হয় নাই হেই। এদিকে, দৈহারী ইউপিতে ১৫৫ জনের মাত্র ২৫জনকে টাকা দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল বিল আর আটঘরকুড়িয়ানায় বিল বন্ধ রয়েছে বলে জানায় ইঞ্জিনিয়র মোঃ ইব্রাহীম মোল্লা। সরেজমিনে, দৈহারী ইউপির কৃষি ব্যাংকে শ্রমীকদের টাকা দেওয়ার সময় দেখাযায় স্থাণীয় দুলাল মিয়া(প্রাত্তন চেয়ারম্যান), ফিরোজসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীর সমাগম এবং শ্রমিকদের কাছ থেকে (পুরাতন ৫৬৭৫ টাকার টাকা থেকে ২০০০ টাকা দিয়ে বাকি ৩৬৭৫ টাকা করে এবং নতুনদের (৪৬৭৫ থেকে ১৩৫০) টাকা দিয়ে বাকি ৩৩২৫ টাকা করে নিয়ে যাচ্ছে ব্যাংকের সামনে থাকা ফার্মেসীতে বসেই। এব্যাপারে, এপ্রকল্পের শ্রমিক পুতুল জানায়, প্রথম বিশদিন কাজ করেছি তার টাকা পেয়েছি আর পরের বিশদিন কাজ করায় নাই তাই সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে বাকি টাকা রেখে দিয়েছে। এবিষয়ে প্রগতী মন্ডল ইউপি (চেয়ারম্যান দৈহারী) বলেন, যারা রাস্তায় কাজ করেছে তাদের টাকা দেয়া হচ্ছে। আমার বাড়ি পাহাড়া দেয় অনেক ছেলেরা এবং নির্বাচনে নেতাকর্মীরা অনেক কষ্ট করেছে আমি ওদের কিছুই দিতে পারি নাই, এই টাকা থেকে ওদের দেওয়া ও অফিস বুঝকরার পরও পঞ্চাশ হাজার টাকা নিজের পকেট থেকে দিতে হবে। আমি মহিলা মানুষ আমার সব লোকজন ট্যাকেল করে চলতে হয়। এব্যাপারে উপজেলা ইঞ্জিনিয়র মোঃ ইব্রাহীম মোল্লা বলেন, দৈহারীর বিল তুলতে বিভিন্ন অভিাযোগ পাওয়ায় আমি বিল বন্ধ করে দিয়েছি তাদের বাকি কাজ শেষ করে বিল তোলার জন্য বলা হয়েছে। একত্রে ৫২টি স্থানে কাজ করতে হওয়ায় কতিপয় নেতারা আমার ব্যাস্ততার সুযোগহ নিয়েছে, আমি উপজেলার একটি ইউপিতে গেলে অন্য ইউপিগুলোতে যাওয়ার আর সময় পাইনা। এবারে দৈহারী, বলদিয়া ও আটঘর এই তিনটি ইউপিতে এসব অনিয়ম হচ্ছে আর আটঘর কুড়িয়ানার বিল বন্ধ রয়েছে। যদিও দৈহারীর সাবেক চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের রাস্তার কাজ মোটেই না করিয়ে বিল তুলে নিয়েছে সেখানকার সিপিসিরা।