
এবিএনএ : নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড। এ বোর্ড খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে প্রতিবেদন দিলে তা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে ঢাকা মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। এর পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। সোমবার হাসপাতালের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের উপপরিচালক শাহ আলম তালুকদার এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, কারাকর্তৃপক্ষের লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসক গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। এ সময় তারা কিছু ব্যবস্থাও দিয়েছেন। আর কিছু বিষয়ে পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন পাওয়ার পর খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। বিস্তারিত প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসকদের কোনো প্রতিবেদন আমরা পাইনি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা কারাকর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। খালেদা জিয়া কী রোগে ভুগছেন জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেলের উপপরিচালক বলেন, এটি রোগীর একান্ত বিষয়। তা জানানো ঠিক নয়।জানা গেছে, রোববার বিকালে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তারা। চিকিৎসকদের মধ্যে ছিলেন- অর্থপেডিক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ সামিউজ্জামান, নিউরোলজিস্ট মনসুর হাবিব, মেডিসিনের ডা. টিটু মিয়া এবং ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সোহেলী রহমান।
গত ২৯ মার্চ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম জানান, কারাগারে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে ওই দিন তার সঙ্গে খালেদা জিয়ার দেখা করতে পারেননি। পর দিন এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। ওই দিনই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া যদি সত্যিই অসুস্থ হয়ে থাকেন, তা হলে তার অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী সুচিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেশেই যদি তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যায়, তা হলে দেশেই তার চিকিৎসা করা হবে। আর যদি মেডিকেল বোর্ড মনে করে যে তাকে বিদেশে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো দরকার, প্রয়োজনে সেই ব্যবস্থাও করা হবে। উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।
Share this content: