
এবিএনএ: ডাকসু নির্বাচনে ভোট চলাকালে রোকেয়া হলের প্রভোস্ট জিনাত হুদাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নবনির্বাচিত ভিপি নুরুল হক নূরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান, জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ঢাবির এক শিক্ষার্থী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সেটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।
এজাহারে বলা হয়, সোমবার সকাল ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোটের লাইনে দাঁড়ান। এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করার চেষ্টা চালান অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে গুজব ছড়িয়ে দেন যে, ট্রাংক ভর্তি সিল মারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে উসকে দেন। শুধু তাই নয়, অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এ সময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালান। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাংক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়, সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।
Share this content: