এবিএনএ : ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেছেন, সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।
তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় চলমান ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ)- এর ১৩৫ তম এসেম্বলির সাধারণ আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।
তিনি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ যে কোন ধরনের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মানবতা বিরোধী অপরাধ, মানবাধিকার লংঘনের বিপক্ষে অবস্থান করে এবং এসব সমস্যা মোকাবেলায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাস করে। গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরেধী অপরাধ প্রতিরোধ করা রাষ্ট্রের প্রাথমিক দায়িত্ব বলেও বাংলাদেশ বিশ্বাস করে।
ডেপুটি স্পিকার আইপিইউ’কে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট, সরকার এবং বেসরকারকারী সংস্থার মাধ্যমে নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। এসময় তিনি আইপিইউকে সকল ধরণের মানবাধিকার লংঘন রোধ কারার উপায় বের করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট নিয়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরী করার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, চীফ হুইপ আস.ম. ফিরোজ, হুইপ মোঃ আতিউর রহমান আতিক, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু,পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, রেল মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীসহ প্রতিনিধিদলের অন্যান্য সদস্যগণ উপ¯িথত ছিলেন।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যার জন্মই হয়েছে শোষণ, নীপিড়ন, নিষ্ঠুর আচরণ ও ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সংগ্রাম করে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় সকল মানুষের জন্য একটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমঅধিকার ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন ছিল। এসময় তিনি বঙ্গবন্ধুর একটি উদ্বৃতি তুলে ধরেন “বাঙালি জাতি এমন একটি সুশৃঙ্খল বিশ্ব দেখতে চায় যেখানে ধনী, গরীব, সাদা, কালো সকল মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং আগ্রাসনমুক্ত সমাজব্যবস্থা নিশ্চিত হবে”।
ডেপুটি স্পিকার বলেন, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও স্বচ্ছ নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেই লক্ষের দিকেই ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। আমাদের সংবিধানেও গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের কথা বলা হয়েছে, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সামাজিক,অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীর সম অধিকারের সুযোগ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী (সংসদ নেতা), স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা নারী। জাতীয় সংসদে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্য রয়েছেন। স্থানীয় সরকারেও এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন।