এবিএনএ : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিদেশি অতিথিরা। সম্মেলনে তারা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে প্রশংসা করেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় প্রভাকর এমপি, বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের জননেত্রীই নন, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জননেত্রী। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী, সংসদ উপনেতা পার্থ চ্যাটার্জি পার্থ বলেন, সোনার বাংলা তৈরি করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। দেশের উন্নয়নে তার অবদান অনেক। তিনিই ডিজিটাল বাংলাদেশের মাধ্যমে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, দুই বাংলা ভূখণ্ডে আলাদা হতে পারে, তবে হৃদয় থেকে কখনও আমরা আলাদা হতে পারিনি। তাই সব সময়ই আমরা এক। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন, জীবনান্দ দাশ, শামসুর রাহমান সবই আমাদের এক। তারাই আমাদের অনুপ্রেরণা।
এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তারা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সাফল্য কামনা করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করার পাশাপাশি শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলেও বিশ্বের বিভিন্ন দলের নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ নাসিম স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তবে তিনি রিপোর্ট না পড়েই কাউন্সিলরদের তার কপি নিয়ে যেতে বলেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদেশি অতিথিরা বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতেই চীনের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াওজং। এরপর একে একে বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাশিম, ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সহসভাপতি বিনয় প্রভাকর, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদ, রাশিয়ার সংসদ সদস্য সের্গেই জেলিজনিয়াক, নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির ড. রাম শর্মা, অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টির হিউ ম্যাকডার্মট, কানানিয়ান কনজারভেটিভ পার্টির নেতা দিপক ওবরেয়, যুক্তরাজ্যের জেনি রাথবোন, ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রী দিনা নাথ দাঙ্গিয়েল, ইতালির ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা ইওগো প্যাপি, পশ্চিম বঙ্গের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসিস্ট) নেতা বিমান বসু, ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাংগা, রাজ্যসভার সদস্য মাজেদ মেমন প্রমুখ।