ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির দুর্নীতির নথি প্রকাশে আদালতের নির্দেশ

ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে যে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে সে বিষয়ক ৪০০ পৃষ্ঠার নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন এক বিচারক। এ নিয়ে ভীষণ চটেছেন রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘গৃহীত মনোনীত’ প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি ওই বিচারকের তীব্র সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, বিচারক ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করেন। তিনি হয়তো একজন মেক্সিকান। ট্রাম্প ইউনিভার্সিটির মাধ্যমে বিলিয়নিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ কৌশল শিখানোর সেমিনারের কথা বলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ওই অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিজনের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে ৩৫ হাজার ডলার। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা চলছে। সেই মামলায় শুক্রবার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট জজ গঞ্জালো কুরিয়েল তার রায়ে বলেছেন, এ বিষয়ে যেসব গোপন দলিল আছে তা প্রকাশ করতে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী ও মিডিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি কি সব কাজ করেছে তাও রয়েছে। তিনি রায়ে আরও বলেছেন, এ সংক্রান্ত তথ্য এরই মধ্যে মিডিয়া সংগঠন পলিটিকো প্রকাশ করেছে। আর একজন ম্যাজিস্টেট আর আগেই এটাকে নিয়মিত কাজ বলে বর্ণনা করেছেন।
শুক্রবারই সান ডিয়োগেতে এক সমাবেশে বিচারক কুরিয়েলের সমালোচনা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমার একজন বিচারক আছেন, যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ঘৃণা করেন। তিনি একজন বিদ্বেষী পুরুষ। তিনি বিদ্বেষী। আমরা একজন অত্যন্ত শত্রুতায় ভরা বিচারকের মুখোমুখি। এই বিচারককে নিয়োগ দিয়েছেন বারাক ওবামা। আমি বিশ্বাস করি এই বিচারক একজন মেক্সিকান।
উল্লেখ্য, বিচারক কুরিয়েল একজন আমেরিকান। তিনি জন্মেছেন ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ইস্ট শিকাগোতে। গ্রাজুয়েশন করেছেন ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি স্কুল অব ল থেকে। ফলে আইনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন বিচারককে এভাবে আক্রমণ করে কথা বলার জন্য পরিণতি ভোগ করতে হতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। তবে তার বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেন নি বিচারক কুরিয়েল। ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি মুরার স্কুল অব ল-এর আইন বিশেষজ্ঞ চার্লস গেই বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যে ধরণের মন্তব্য করেছেন তাতে তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আসতে পারে।
সত্যতা অস্বীকার করে একজন বিচারকের আক্রমণ করেছেন। এটা করেছেন তিনি একটি রাজনৈতিক সমাবেশে। ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবুর্গ স্কুল অব ল-এর ফেডারেল কোর্ট বিশেষজ্ঞ আর্থুর হেলম্যান বলেন, বিচারক একটি জটিল পরিস্থিতিতে ছিলেন। তিনি আদালতের বাইরে এ নিয়ে কথা বলতে পারেন না। তাই তারা নিজেদের ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে নিজের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। তাদের সীমানা সীমিত।
Share this content: