
এবিএনএ: কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপকুলীয় এলাকার ছয় জলদস্যু বাহিনীর ৪৩ জন সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। এ সময় ৯৪টি অস্ত্র ও ৭ হাজার ৬৩৭ গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হয়। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে র্যাব কর্তৃক আয়োজিত এক সমাবেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান কামালের উপস্থিতিতে এই জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেন। সমাবেশে মহেশখালীর আন্জু বাহিনীর ১০ জন সদস্য ২৪টি অস্ত্র ও ৩৪৫টি গোলাবারুদ, রমিজ বাহিনীর দুজন সদস্য ৮টি অস্ত্র ও ১২০টি গোলাবারুদ, নুরুল আলম ওরফে কালাবদা বাহিনীর ছয়জন ২৩টি অস্ত্র ও ৩৩৩টি গোলাবারুদ, জালাল বাহিনীর ১৫ জন সদস্য ২৯টি অস্ত্র ও ৬ হাজার ৭৯৮টি গোলাবারুদ, আয়ুব বাহিনীর নয়জন ৯টি অস্ত্র ও ৩৭টি গোলাবারুদ এবং আলাউদ্দিন বাহিনীর একজন ১টি অস্ত্র ও চারটি গোলাবারুদ হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে বেনজির আহমদ বলেন, ’জলদস্যুদের আমরা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করতে পেরেছি। আগামী ৩১ অক্টোবর সর্বশেষ জলদস্যুদের যে গ্রুপগুলো আছে সুন্দরবনে তারাও স্বরাষ্ট্রমনস্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করবেন।’দস্যুদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। দস্যুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান র্যাবের মহাপরিচালক।অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রুত মহেশখালী-কুতুবদিয়া অঞ্চল দস্যুমুক্ত হবে। এ সময় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসলে জলদস্যুদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ সময় পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার গোলাম ফারুক, কক্সবাজার-২ আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: